ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ আতঙ্কে ৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা জামজামির প্রীতিভোজে অংশ নিতে পারেনি

 

স্টাফ রিপোর্টার: জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদে ৩ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের প্রীতিভোজ শেষ পর্যন্ত ভণ্ডুল হয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ ওই নির্বাচনি প্রীতিভোজ ভণ্ডুল করেছে।

জানা গেছে, ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষাবলম্বন করেন। তিনি গতকাল ২৪ ডিসেম্বর নিজের সমর্থিত চেয়ারম্যানপ্রার্থীর পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদে প্রীতিভোজের আয়োজন করেন। এ প্রীতিভোজে জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের পারিষদবৃন্দ ছাড়াও ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদ ও খাসকররা ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বার-চেয়ারম্যানের যোগ দেয়ার কথা ছিলো। আয়োজনে জামজামি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকল মেম্বার উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ৩ ইউনিয়নের ভোটারদের এ প্রীতিভোজের সংবাদ পেয়ে চেয়ারম্যানপ্রার্থী সামসুল আবেদীন খোকন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলক কুমার মণ্ডল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় তিনি আয়োজক ইউপি চেয়ারম্যানকে নিষেধ করেন সে প্রীতিভোজ আয়োজনের। অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও উল্লেখ করেন। সে সময় খাসকররা ইউপির মেম্বাররা জামজামি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে উপস্থিত হন। ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ছবি তোলেন বলেও জানা যায়। তারপর ম্যজিস্ট্রেট ফিরে যান। এ সময় ইউপি ভবনের সামনে বেশ কিছু পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি দেখে অধিকাংশ মেম্বার প্রীতিভোজে অংশ না নিয়ে ফিরে যান। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। তারা নিকটবর্তী বাঁশবাগানে প্রীতিভোজে অংশ নেন বলে জানান।

এ ঘটনা সম্পর্কে আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট এ ঘটনা জানালে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তিনি খাসকররা ইউপির মেম্বারদের ও ডাউকি ইউপির চেয়ারম্যানকে মোবাইলফোনে সেখানে যেতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি কাউকেই লঙ্ঘন করতে দেবেন না। যেই লঙ্ঘনের চেষ্টা করবেন, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিবেন।