মোটা অঙ্কের চেকের বিনিময়ে দেয়া প্রশ্ন কি মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় কমন ছিলো?

উদ্ধারকৃত চেকের মালিকেদেরও শনাক্ত করার উদ্যোগ
স্টাফ রিপোর্টার: মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা চক্রের ৪ সদস্যকে গতকাল আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের দেয়া প্রশ্নপত্রে ক’জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে মামলার তদন্তকর্তা। এছাড়াও উদ্ধাকৃত চেকের মালিকদেরও শনাক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সূত্র এরকমই তথ্য দিয়ে বলেছে, তদন্তের ওপর নজর রাখছে র‌্যাব।
গত ৬ অক্টোবর মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের আগের মধ্যরাত থেকে গতপরশু রোববার দুপুর পর্যন্ত র‌্যাব-১০’র একটি দল লাগাতার অভিযান চালিয়ে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র বিক্রির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় ৩ কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার টাকা লেখা ৪৬টি ও টাকার অংশ লেখা বাদেই স্বাক্ষর দেয়া ৬টি মোট ৫২টি চেকসহ বিভিন্ন উপকরণ। আটককৃতদের ঢাকায় সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে র‌্যাব-১০’র পক্ষে প্রেসব্রিফিং করা হয়। তাতে বলা হয়, প্রতারকচক্রের সদস্যরা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে প্রচার করে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন অ্যাপস’র মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সরবরাহ করে। অনেকের অভিভাবকের নিকট থেকে নেয়া হয় চেক। গতপরশু মামলাসহ পুলিশে দেয়া হয়। পরে সোপর্দ করা হয় আদলতে।
আটককৃত ৪ জন হলো- দিনাজপুর ঘোড়াঘাটার দেবিপুর রানীগঞ্জ বাজার এলাকার অপু হাওলাদারে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন তিন্নি। এর বর্তমান ঠিকানা ঢাকা হাজারিবাগের টালি অফিস এলাকায়। দিনাজপুর ঘোড়াঘাট রামেশ্বরপুর গ্রামের জিয়াউর রহমান প্রধানের ছেলে রাশেদুজ্জামান রিপন। তার বর্তমান ঠিকানা ঢাকা মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের হকপাড়ার সালাউদ্দীনের ছেলে ডা. সামসুর রশীদ দিপু। তিনি ঢাকা আদাবরের আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক কল্যাণপুর এলাকার একটি ফ্লাটে থাকতেন। দিনাজপুর ফুলবাড়ি গৌরিপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী। তিনি ঢাকা মিরপুর ১০’র ১৩ নম্বর রোডের ডি ব্লকের বাসিন্দা ছিলেন।
সূত্র বলেছে, যেহেতু প্রশ্নপত্র দিয়ে চেক নেয়া হয়েছে সেহেতু ওই চেকদাতাদের নিকটজনদের কে কে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে খতিয়ে দেখা জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকর্তার দৃষ্টিও আকর্ষণ করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়ে বলেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সার্বিক দিকই তদন্ত করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তদন্তের দিকে র‌্যাবও বিশেষ নজর রাখতে শুরু করেছে বলেও জানা গেছে।