মোটরসাইকেল ছিনতাই করে পালানোর পথে পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ : দু ছিনতাইকারী গ্রেফতার

 

 

বারাদী প্রতিনিধি/মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা সদরের বারাদী থেকে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে পালানোর সময় নূরপুর নামক স্থানে পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করেছে ছিনতাইকারীরা। বোমাঘাতে আহত অবস্থায় রিন্টু মিয়া (২২) ও সোহাগ হোসেন (২৩) নামের দু ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। গতরাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রিন্টু মিয়া গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের মহিরুল ইসলামের ছেলে এবং সোহাগের বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। তার পিতার নাম মনিরুল ইসলাম।

জানা গেছে, সদর উপজেলার বারাদী বাজারের শাহীন ইলেকট্রিকের স্বত্বাধিকারী শাহীন হোসেন মোটরসাইকেলযোগে গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে পাটকেলপোতা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। তার সাথে ছিলেন পার্শ্ববর্তী সিংহাটি গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন ও লাল্টু মিয়া। বারাদী বাজারের কয়েকশ’ গজ দূরে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ককের একটি মোবাইল টাউয়ারের কাছে পৌঁছুলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন। আগে থেকে ওত পেতে থাকা ১০/১২জন ছিনতাইকারী বোমা ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাদের পথরোধ করে। শাহীন ও তার দু সঙ্গীকে বেঁধে পিটিয়ে তার ব্যবহৃত একটি ডিসকভারি ১০০সিসি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়। তাদের ফেলে রেখে ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিভিন্ন সড়কে টহলরত পুলিশ সদস্যরা সজাগ হন। আর এতেই ছিনতাইকারীরা পড়ে বিপত্তিতে। নূরপুর মোড়ে পৌঁছুলে টহলরত পুলিশ সদস্যরা তাদের থামানোর চেষ্টা করেন।

সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আতিয়ার রহমান জানান, পুলিশের দৃঢ় অবস্থানের কারণে ছিনতাইকারীরা থামতে বাধ্য হয়। কিন্তু তারা পালানোর চেষ্টাকালে দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ সদস্যরা রক্ষা পেলেও ছিনতাইকারীরাই আহত হয়। পুলিশ সদস্যরা আহত রিন্টু ও সোহাগকে গ্রেফতার করেন। তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ওই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। পরে আহত দুজনকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার শেখ ও সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল জলিল। তারা ছিনতাইকারীদের জিজ্ঞাবাসাদ করেন।

সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল জলিল জানান, ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে গত কয়েকদিন থেকে বিশেষ অভিযান চলছিলো। শাহীনের মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের পর বিভিন্ন ক্যাম্প ও থানায় সতর্ক করা হয়। পুলিশ সদস্যরা বোমার ভয় না করে জীবনবাজি রেখেই তাদের গ্রেফতার করেছেন।সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, দুজনের গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে ছিনতাই বন্ধের পাশাপাশি তাদের অন্যান্য সদস্য ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানা যাবে। আটক দুজনসহ তাদের সঙ্গীয় ছিনতাইকারীদের নামে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করছেন তিনি।