মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কৃষক ইদ্রিস আলী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার: মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী চুয়াডাঙ্গা হাজরাহাটির ইদ্রিস আলী শেখ নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের হাজরাহাটি মোড়ের অদূরবর্তী চন্দ্রাবতী ইঁদারার অদূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া গতকাল চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় একশিশুসহ ৭জন আহত হয়েছে। এদের ৬ জনই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। অপরজন শ্যালোইঞ্জিন স্টার্ট করতে গিয়ে হ্যান্ডেলের আঘাতে আহত হয়ে এখন হাসপাতালে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাজরাহাটি শেখপাড়ার মৃত ইয়াছদ্দিন শেখের ছেলে ইদ্রিস আলী শেখ (৬০) ছিলেন কৃষক। তিনি ভুট্টার ক্ষেতে সার দেয়ার জন্য সার নিয়ে বাইসাইকেলযোগে বোয়ালমারীর চন্দ্রাবতী ইঁদারার মাঠের উদ্দেশে রওনা হন। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের বোয়ালমারীর অদূরবর্তী স্থানে বেপরোয়া গতির একটি মোটরসাইকেল তাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। আছড়ে পড়েন বাইসাইকেল আরোহী কৃষক ইদ্রিস আলী শেখ। রক্তাক্ত জখম হন। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার এক পর্যায়ে বেলা ১টার দিকে মারা যান তিনি। দুর্ঘটনার পর মোটরসাইকেলটি ফেলে দ্রুত সটকে পড়েন চালক। মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে হাজরাহাটির কাউন্সিলর ফরজ আলীর হেফাজতে রাখা হয়। গতকালই সদর থানায় এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। মোটরসাইকেলের মালিক এ মামলার আসামি। ইদ্রিস আলী শেখের মৃতদেহ গতকালই হাসপাতালমর্গে নিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়।
এদিকে মাইক্রোবাস দুর্ঘর্টনায় আহত হয়েছেন চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠের মেলা পরিচালনাকারীদের দুজন। এরা হলেন মাগুরা শ্রীরামপুরের সুনীল দাসের ছেলে সণ্টু ও আহম্মদ আলীর ছেলে নূর ইসলাম। গতকাল সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের চারমাইল নামকস্থানে একটি বাসের সাথে ধাক্কায় এরা আহত হন। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ছোটশলুয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে জান্নাতুল (৭) বাড়ির পাশের রাস্তা পার হতে গেলে করিমনের ধাক্কায় আহত হয়। দামুড়হুদা লক্ষ্মীপুরের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইউনুস আলী মোটরসাইকেলযোগে ছুটতে গিয়ে কুকুরের সাথে ধাক্কা মেরে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে। এছাড়াও গতকাল শৈলমারীর দারুস মণ্ডলের ছেলে জাহার আলী (৬০) করিমনযোগে ফেরার পথে অপর একটি করিমনের ধাক্কায় পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন। তাকেও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসা চলছে। এছাড়া দামুড়হুদার সুলতানপুরের শামসুল হকের ছেলে কিয়ামত আলী (১৩) অন্যের শ্যালোমেশিন স্টার্ট করতে গিয়ে হ্যান্ডেলে মুখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।