মেহেরপুর দীঘিরপাড়ার মাঠ থেকে স্বামী পরিত্যক্তার লাশ উদ্ধার

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্ষেত মালিকের দুই ছেলেকে থানায় নিয়েছে পুলিশ

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর শহরের দীঘিরপাড়ার আঙ্গুরের তেলপাম্পের উত্তর মাঠ এলাকা থেকে সোহাগী (৫২) নামের এক স্বামী পরিত্যক্তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতরাত সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেন। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা পুলিশ এখন নিশ্চিত নয়। তবে নিহতে মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কাঁঠাল গাছের পাতা ছেড়া ও ছাগলে পাট খাওয়ার অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের ধারণা। ওই রাতেই ক্ষেত মালিকের দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে পুলিশ।

নিহতের পরিবার জানায়, গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে স্বামী পরিত্যক্তা সোহাগী কয়েকটি ছাগল নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠে নিয়ে যায়। এর পরে আর বাড়ি ফিরে আসেনি সোহাগী। দিনভর খোঁজাখুঁজির পরে রাতে একই গ্রামের গরম নিয়ামতের কলাক্ষেত থেকে কলার পাতায় ঢাকা তার লাশ উদ্ধার হয়। নিহতের একমাত্র ছেলে সাইদুল (৩৫) জানান, হত্যা করার পর নজু তাদের বাড়িতে ছাগল দিতে যায়। ওই সময় মার কথা জিজ্ঞাসা করতে তার কথা-বার্তায় অসংলগ্ন ছিলো। এর আগে গরম নিয়ামত আলীর দুই ছেলের হাতে নিড়ানি ছিলো বলে কেউ কেউ দেখেছে বলে দাবি করেছেন সাইদুল।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, দিঘীরপাড়া মাঠের একটি কলাক্ষেতে কলার গাছ ও পাতা দিয়ে মরদেহ ঢাকা ছিলো। দিনের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করে লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো। তার মাথায় আঘাতের চিহ্নি রয়েছে। তবে কি কারণে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। রাতে খবর পেয়ে পুলিশ সোহাগীর লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালমর্গে নিয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্ষেতমালিক নিয়ামত আলীর দুই ছেলে নজু ও আজিতকে থানায় নেয়া হয়েছে।

নিহত সোহাগী দীঘিরপাড়ার পুলিশ লাইন এলাকার মৃত সুরাত আলী মেয়ে। তার স্বামীর নাম রেজাউল করিম। একমাত্র সন্তান সাইদুল জম্মের পর প্রায় ৩ যুগ আগে রেজাউল করিম তাকে বাবার বাড়ি রেখে চলে যায়। সে থেকেই সোহাগী তার পিতার বাড়ি দীঘিরপাড়ায় বসবাস করে আসছিলো।