মেহেরপুর গাংনীর মড়কা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

 

পণ্য বহনে পাটজাত দ্রব্য ব্যবহার না করায় জরিমানা

গাংনী প্রতিনিধি: চালসহ খাবার দ্রব্য বহনে পাটজাত দ্রব্যের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিতে মেহেরপুর গাংনীতে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি নূর এ আলম ওই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় রাইচ মিল মালিক, চাল ব্যবসায়ীর পাশাপাশি হোটেলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার সকালে মড়কা বাজারে অবস্থিত আব্দুস সালাম ও শহিদুল ইসলামের রাইচ মিলে অভিযান চালান। সেখানে পাটজাত দ্রব্যের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিক বস্তায় চাল সংরক্ষণ ছিলো। এ অপরাধে পণ্য আনানেয়ায় পাটজাত দ্রব্য ব্যবহার আইন ২০১০’র ১৫ ধারায় ২ রাইচ মিল মালিককে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের জেলের আদেশ দেন। পরে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে এ যাত্রায় রক্ষা পান ২ মিল মালিক।

এদিকে একই আইনে দোষী সাব্যস্ত করে গাংনী শহরের চাল ব্যবসায়ী রহমান ভাণ্ডার থেকে ৩ হাজার ও রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অপরদিকে একই ভ্রাম্যমাণ আদালত গাংনী শহরের হোটেলসহ বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। শ্যামলী বুক ল্যান্ডের বইয়ের ব্যবসার পাশাপশি কনফেশনারী দ্রব্য বেচা-কেনা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয় রাখার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। হোটেলে নোংরা পরিবেশের অপরাধে আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডার থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ প্রসঙ্গে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর এ আলম বলেন, আমিন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে নোংরা পরিবেশ, দীর্ঘদিন ধরে খাবার সংরক্ষণ করার বিষয়ে হোটেল মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে এমন পরিবেশ পাওয়া গেলে হোটেল সিলগালা করে দেয়া হবে বলে মালিককে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।