মেহেরপুর কুলবাড়িয়ায় জুম্মার নামাজ আদায়কালে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম : হামলাকারী আটক

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করার সময় পেছন থেকে ধারালো ডাসা দিয়ে আঘাত করে হামিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের তালপাতাপাড়া জামে মসজিদের ভেতরে ওই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় মুসল্লিরা জানায়, গতকাল জুম্মার নামাজে ফরজ নামাজ আদায় করার সময় কুলবাড়িয়া গ্রামের বজলুর ঘরজামাই নিজামউদ্দিন ওরফে নেজাম ডাসা দিয়ে পেছন থেকে হামিদুলের মাথায় কোপ মারে। ওই সময় মুসল্লিরা নামাজ ছেড়ে নেজামকে তাড়িয়ে ধরে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ নেজামকে আটক করে মেহেরপুর থানায় নেয়। মারাত্মক আহত হামিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে দ্রুত নেয়া হয় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। পরে কুষ্টিয়া হাসপাতাল থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন।

আটক নেজাম সাংবাদিকদের বলে, সে গাংনী উপজেলার বামন্দী-নিশিপুর গ্রামের কাজিমুদ্দিনের ছেলে। প্রায় ১৫ বছর আগে সে কুলবাড়িয়া গ্রামের বজলুর মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছে। হামিদুল ইসলাম তার স্ত্রীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করে। তাকে নিষেধ করার পরও না শোনায় তাকে হত্যা করতে চেষ্টা করে। আহত হামিদুল ইসলাম হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ওই গ্রামের বানী হোসেনের ছেলে। প্রতিবেশীর মেয়ে হিসেবে তিনি নেজামের স্ত্রীর সাথে কথা বলেন মাত্র। এর বেশি তার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।

মেহেরপুর সদর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মিজান জানান, নেজামউদ্দীনকে আটকের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি ডাসা উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ও পরকীয়ার কারণে ওই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।