মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীতে বজ্রপাতে আরো একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় কৃষক মহাসিন আলীর (৩৭)। তিনি ওই গ্রামের মৃত নজির বিশ্বাসের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে গ্রামের পার্শ্ববর্তী চারাগাছ তলা মাঠে ধানক্ষেতে সেচ দেয়ার কাজ করছিলেন মহাসিন আলী। এ সময় বৃষ্টিসহ বিজলী চমকানো শুরু হয়। আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। স্থানীয় লোকজান তার মরদেহ নিয়ে বাড়িতে আসেন। পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম।

এদিকে বজ্রপাতে বুধবার বিকেলে কুঞ্জনগর গ্রামের কামরুজ্জামান ভদু (১৯) নামের এক কলেজছাত্র ক্ষেতে কাজ করার সময় মৃত্যুবরণ করে। বিভিন্ন স্থানে আহত হন আরো ১০ জন।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে,ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পৃথক গ্রামে বজ্রপাতে এক প্রকৌশলীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন-লক্ষ্মণদিয়া গ্রামের প্রকৌশলী টিটোন বিশ্বাস (২৩) ও খালকুলা গ্রামের কৃষক শফিক মোল্লা (৪০)। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাত ঝড়ো হাওয়াসহ দমকা বৃষ্টি শুরু হলে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।প্রকৌশলী টিটোন বিশ্বাস শৈলকুপা উপজেলার লক্ষ্মণদিয়া গওমের মসিউর রহমানের ছেলে। কৃষক শফিক মোল্লা একই উপজেলার খালকুলা গ্রামের মোজাহার মোল্লার ছেলে। বজ্রপাতে এক শিশু আহত হয়।শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, বিকেল ৩টার দিকে প্রকৌশলী টিটোন বিশ্বাস লক্ষ্মণদিয়া গ্রামে নিজের জমি দেখতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

অন্যদিকে, একই উপজেলার খালকুলা গ্রামের কৃষক শফিক উল্লা দুপুর ২টার দিকে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। টিটোন বিশ্বাস গাজিপুর বিআইটি থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে চাকরি খুঁজছিলেন বলে তার চাচাতো ভাই শাহাবুদ্দীন বিশ্বাস জানান।

অপরদিকে, বৃহস্পতিবারবিকেল ৪টার দিকে কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের দমদমা গ্রামে ওহিদুল (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। সে সময় তিনি মাঠে কাজ করছিলেন। বজ্রপাত হলেঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত ওহিদুল দমদমা গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।