মেহেরপুরে ১০ লাখ টাকার কারেন্টজাল ধ্বংস : ৫ জনের কারাদণ্ড

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর পশুহাটে বিক্রিকালে ১০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের নিষিদ্ধ কারেন্টজাল উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে। পিতা-ছেলেসহ ৩ জাল বিক্রেতা ও জাল কেনার অপরাধে দু ক্রেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ও বিকেলে ওই দুটি অভিযান চালানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার গোপালনগর গ্রামের রুপচাঁদ আলী (৩৬) ও একই গ্রামের আব্দার আলী (৫০) এবং নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মসিংদা গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে নূর ইসলাম (৫০), শিকদারপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী মোল্লার ছেলে রুহুল আমীন (৪৩) ও তার ছেলে মিজানুর রহমান (২৫)।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মেহেরপুর শহরের পশুহাটে নিষিদ্ধ কারেন্টজাল বিক্রির খবর পেয়ে দুপুরে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দু হাজার পিস কারেন্টজাল ফেলে বিক্রেতারা পালিয়ে যায়। ক্রয় করা দু পিস জালসহ ক্রেতা গোপালনগর গ্রামের রুপচাঁদ আলী ও আব্দার আলীকে আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া কারেন্টজাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ সময় মৎস্য সংরক্ষণ আইনে ওই দু ক্রেতাকে দোষি সাব্যস্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাতদিন করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ্জোহরা।

এদিকে বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুর-এ আলমের নেতৃত্বে পুলিশ পশুহাটে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকার কারেন্টজালসহ বিক্রেতা নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার মসিংদা গ্রামের নূর ইসলাম, শিকদারপুর গ্রামের রুহুল আমীন ও তার ছেলে মিজানুর রহমানকে আটক করেন। পরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে ওই কারেন্টজাল পোড়ানো হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুর-এ আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রত্যেককে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। দণ্ডাপ্রাপ্ত ৫ জনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে।