মেহেরপুরে সবজির অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি

 

 

মাজেদুল হক মানিক/মহসিন আলী: রমজানের শুরু থেকেই মেহেরপুর জেলায় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে সবজির দাম। যা কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও। এতে নিম্নবৃত্ত ও মধ্যবৃত্ত মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন সবজির সরবরাহ থাকলেও বেশির ভাগই জেলার বাইরের বাজারে চলে যাচ্ছে। এতেই জেলার সবজি বাজারে বিরাজ করছে আগুন।

গত শনিবার সকালে মেহেরপুর তহবাজারসহ জেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রমজানের আগে প্রতি কেজি শসার দাম ১০ থেকে ১২ টাকা থাকলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। পটল ১২ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, কচু ১৪ টাকা থেকে ৩০ টাকা, ৩০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, ঢেড়স ২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে মুরগি ও সবরকমের মাছের দাম। এছাড়াও বৃদ্ধি পেয়েছে ছোলা, পেঁয়াজ ও মশলার দাম। বেশিরভাগ পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নাভিস্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। অনেকেই প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক বাজার করে বাড়ি ফিরছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ও ক্রেতার দরকষাকষিতে দ্বন্দ্ব শুরু হচ্ছে। বাজারে প্রত্যেক পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে দিলেও তার সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নেয়।

এদিকে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও বাজারে তার কোনো কার্যকারিতা নেয় বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। অনেক দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় বাজারে প্রতিটি পণ্যের মূল্য কমলেও বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম। এখানে ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় প্রতিটি পণ্যের মূল্য দু থেকে তিন গুন বাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।খুচরা ব্যবসায়ীরা জানালেন, তাদেরকে আড়ত থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের কাছেও তাদের বেশি দামে বেঁচতে হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে পণ্যের সরবরাহ কম থাকারও অভিযোগ করলেন তারা।

মেহেরপুর তহবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু হানিফ জানান, বাজারে প্রতিটি পণ্যের সরবরাহ থাকলেও বাইরের ফড়িয়ারা বেশি দামে সবজি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় বাজারে পণ্য সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে জিনিসের দাম কমে যাবে বলেও তিনি জানান।