মেহেরপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে গোলাম রসুল বিজয়ী

 

মেহেরপুর অফিস: সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. গোলাম রসুল (আনারস)। ১০৭ ভোট পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী (কাপ-পিরিচ) পেয়েছেন ৮৪ ভোট। এছাড়াও অন্য দুই প্রার্থী মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস (চশমা) পেয়েছেন ৫৫ ভোট। আর গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন (তালগাছ) পেয়েছেন ২১ ভোট। এর আগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১৫টি কেন্দ্রর ৩০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার ছিলেন ২৬৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা ৬৩ জন ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২০৬ জন। গতকাল অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে দুই ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচন। মেহেরপুরের মোট ১৫টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। ১ নং ওয়ার্ডে (বাগোয়ান) তালা প্রতীক নিয়ে ৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহীন উদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রাজ্জাক টিউবয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ ভোট। ২ নং ওয়ার্ডে (দারিয়াপুর ও মোনাখালী) বিজয়ী হয়েছেন আজিজুল বারি। তিনি পেয়েছেন ১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৯ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ডে (মহাজনপুর ও আমদাহ) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আলমাস হোসেন শিলু। ৪ নং ওয়ার্ডে (মেহেরপুর পৌরসভা) তালা প্রতীকে ৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন হাসানুল হক সবুজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টিউবয়েল প্রতীকে মিজানুর রহমান অপু পেয়েছেন ৭ ভোট। ৫ নং ওয়ার্ডে (কুতুবপুর) নির্বাচিত হয়েছেন ইমতিয়াজ হোসেন। টিউবওয়েল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইদ্রিস আলী মাস্টার পেয়েছেন ৪ ভোট। ৬ নং ওয়ার্ডে (বুড়িপোতা) ৭ ভোট পেয়ে তালা প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল হাশেম অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ ভোট। ৭ নং ওয়ার্ডে (পিরোজপুর) রফিকুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীকে ৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরিফুল ইসলাম তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৬ ভোট। ৮ নং ওয়ার্ডে (আমঝুপি) হাতি প্রতীকে খাজা মঈনুদ্দীন ৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সামাদ তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ ভোট। ৯ নং ওয়ার্ডে (ধানখোলা) শওকত আলী বিজয়ী হয়েছেন। টিউবয়েল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রাজ্জাক তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৬ ভোট। ১০ নং ওয়ার্ড (গাংনী পৌরসভা ও রাইপুর) মজিরুল ইসলাম ২৫ ভোট পেয়ে তালা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারুল ইসলাম টিউবয়েলে তালা প্রতীকে পেয়েছেন ২ ভোট। ১১ নং ওয়ার্ড (কাথুলী ও সাহারবাটি) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তৌহিদ মোরশেদ। ১২ নং ওয়ার্ডে (তেঁতুলবাড়িয়া) মোহাম্মদ আলী টিউবয়েল প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতদ্বন্দ্বী নাজমুল হুদা বিশ্বাস তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ ভোট। ১৩ নং ওয়ার্ডে (কাজিপুর) মনছুর আলী অটোরিক্সা প্রতীকে ৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাফিজুর রহামন টিউবয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৪ ভোট। ১৪ নং ওয়ার্ডে (বামুন্দী ও ষোলটাকা) আইয়ুব আলী তালা বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৮ ভোট। এবং ১৫ নং ওয়ার্ডে (মটমুড়া) তোফাজ্জেল হক হাতি প্রতীকে ৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুজ্জামান অটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ ভোট।

এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে বিজয়ী হলেন- ১ নং ওয়ার্ডে (বাগোয়ান, দারিয়াপুর, মেনাখালী, মহাজনপুর ও আমদাহ) নির্বাচিত হয়েছেন নারগিস আরা। তার প্রতীক ছিল দোয়াত-কলম। তিনি পেয়েছেন ২৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আফরোজা খাতুন ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ ভোট। ২নং ওয়ার্ডে (মেহেরপুর পৌরসভা, কুতুবপুর ও বুড়িপোতা) সামিউন বাসিরা পলি টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ২৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেহেনা খাতুন ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ডে (পিরোজপুর, আমঝুপি ও ধানখোলা) নির্বাচিত হয়েছেন শামীম-আরা-বিশ্বাস। ফুটবল প্রতীতে তিনি পেয়েছেন ৩৯। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সায়েরা খাতুন হরিণ প্রতীকে কোন ভোট পাননি। ৪ নং ওয়ার্ডে (গাংনী পৌরসভা ও রাইপুর, কাথুলী ও সাহারবাটি এবং তেঁতুলবাড়িয়া) শাহানা ইসলাম হরিণ প্রতীকে ৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার বিপরীতে ফারহানা ইয়াসমিন ফুটবল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৭ ভোট। ৫ নং ওয়ার্ডে (কাজিপুর, বামন্দী ও ষোলটাকা এবং মটমুড়া) গুলশানারা খাতুন ৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতীক ছিলো ফুটবল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজিয়া খাতুন হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ ভোট।