মেহেরপুরে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলে যশোর শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা : বাজারের কেনা প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ায় খাতা ও প্রশ্নপত্র জব্দ

 

স্টাফ রির্পোটার: যশোর শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে মেহেরপুর কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষায় ৯ম ও ১০ম শ্রেণির বোর্ড নির্ধারিত প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে বাজারের কেনা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরীক্ষার খাতা ও পশ্নপত্র জব্দ করা হয়েছে।

একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, মেহেরপুর শহরের কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা যশোর বোর্ড নির্ধারিত প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিলো। সে মতে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়সহ যশোর বোর্ড নির্ধারিত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো যশোর বোর্ডের অনলাইলে প্রাপ্ত প্রশ্নপত্রের আলোকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একমাত্র কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল বাজারে প্রশ্নে পরীক্ষা নিচ্ছেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে বিষয়টি শিক্ষা বোর্ডকে জানান। এ ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মেহেরপুর প্রশসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।

গতকাল শনিবার সকালে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ভূগোল, বানিজ্য বিভাগের ফিনান্স ও বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালে মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হাসান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার দেলওয়ার হোসেন ও সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক অতর্কিতভাবে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলে উপস্থিত হন এবং ঘটনার সত্যতা পান। পরে তারা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রশ্নপত্র ও পরীক্ষার খাতা সংগ্রহ করে সাথে নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি নিয়ম মেনেই প্রতিদিন যশোর বোর্ডের অনলাইন থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করেছেন ও পরীক্ষা নিয়েছেন। এদিনও বোর্ডের অনলাইন থেকে ৯ম ও ১০ম শ্রেণির প্রশ্নপত্র বের করেছেন। কিন্তু নেট ও ফটোমেশিনের সমস্যা ও বৃষ্টি বাঁধা হয়ে দাঁড়াবার কারণে প্রশ্নের যথাযথ কপি বের করা যায়নি। তাই পরীক্ষায় অর্ধেক প্রশ্ন বোর্ডের ও বাকি অর্ধেক বাজারের কেনা প্রশ্ন ব্যবহার করা হয়েছে।