মেলার নামে চলছে উলঙ্গ নৃত্য ও জুয়োর আসর : প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খাসবাগুন্দা এলাকার মানুষের নির্ঘুম রাত : ধ্বংস পথে যুবসমাজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: যাত্রার নামে চলা অশ্লীল নৃত্যে ধ্বংসে পথে যুবসমাজ। প্রশাসনের সহযোগিতা আর পুলিশের নেপথ্যে সহযোগিতা থাকায় কোনো আন্দোলনই কাজে আসছে না। জুয়োয় গ্রাস করেছে পুরো এলাকা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ। আলমডাঙ্গা উপজেলার বাগুন্দা গ্রামের গত কয়েক দিন ধরে চলছে জুয়ো আর অশ্লীল নৃত্য। রাতভর উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। রাতের বিকট শব্দে ঘুমাতে পারছে না শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজছাত্র জানান, যাত্রার নামে উদোম শরীরে চলছে মেয়েদের নৃত্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একজন জানান, অপসংস্কৃতি নয় এখানে ন্যাংটা নাচ। উঠতি বয়সের ছেলেরা মোবাইলফোনে রেকর্ড করে তা নিয়ে যাচ্ছে। চলছে জুয়োর আসর। হাজার হাজার টাকা হেরে ভোরে মলিন চেহারায় বাড়ি ফিরছে সাধারণ মানুষ। এ দৃশ্য শুধু একদিনের না। আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের খাসবাগুন্দা গ্রামে মেলার নামে এ ধরনের বেসামাল নাচ-গান আর উলঙ্গ নৃত্য চলছে গত ৪ দিন ধরে। সেই সাথে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকেই চলছে লাখ লাখ টাকার রমরমা জুয়োর আসর। উঠতি বয়সী স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আর গ্রাম্য যুবকের আড্ডায় জমে ওঠা গভীর রাত পর্যন্ত বাগুন্দা গ্রামের মেলা প্রাঙ্গণ এখন শুধুই অশ্লীতার আগ্রাসন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেলার নামে নিয়মিত রাতের আঁধারে উলঙ্গ নৃত্য আর লাখ লাখ টাকার জুয়োর আসর চলছে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই। এছাড়া এলাকায় ব্যাপক জনশ্রতি রয়েছে, কথিত কিছু চাঁদাবাজ সাংবাদিক নির্বিঘ্নে মেলা চালানোর সার্বিক সহযোগিতা করার ব্যাপারে মেলা আয়োজক গোষ্ঠীর কাছ থেকে প্রতিরাতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটা করে মেলা উদ্বোধন করা হয় এ মেলার। যাত্রাপালার নামে রাত হলেও শুরু হয় উলঙ্গ নৃত্য। এর ফলে এলাকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া লাঠে উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়োজকদের একজন জানান, যাত্রাপালার কথা না বললে প্রশাসনিক অনুমতি মেলে না। এজন্য প্রশাসনকে নিয়মিত টাকা দিয়ে উলঙ্গ নৃত্য এবং লাখ লাখ টাকার জুয়ো চালানো হচ্ছে। মেলায় অশ্লীতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয়ায় একদিকে যেমন বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে, তেমনি এলাকার উঠতি বয়সী যুবসমাজ হচ্ছে বিপথগামী। এছাড়া মেলার কারণে এলাকার আইনশৃঙ্খলারও চরম অবনতি হয়েছে। জুয়ো ও উলঙ্গ নৃত্য বন্ধে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।