মৃত্যুর আগেই হাসপাতাল থেকে এক রোগীকে নিয়ে পলায়ন

চুয়াডাঙ্গায় আত্মহত্যার প্রবনতা বৃদ্ধি : একই দিনে বিষপানে হাসপাতালে ৬ জন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় দিনে দিনে বেড়েই চলেছ আত্মহত্যার প্রবণতা। একই দিনে আত্মহত্যা অপচেষ্টা চালিয়ে ৬ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে মারা যাবে ভেবে মৃত্যুই আগেই ১ রোগীকে নিয়ে সটকেছে তার আত্মীয়রা। গতকাল জেলার বিভিন্ন এলাকার ৬ জন পারিবারিক কলহের কারণে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার লিটনের মেয়ে ববিতা খাতুন (১৮) মাসখানেক আগে বিয়ে করে একই এলাকার টিটন নামের এক ছেলের সাথে। স্বামীর সাথে মোবাইলফোনে কথা বলার পরে সে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছে তার স্বজনরা। জেলা সদরের বুজরুকগড়গড়ির মহসিন আলীর স্ত্রী আকলিমা খাতুন (২৫) আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে। স্বামী মহসিন তালাক দেয়া দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলার কারণে প্রথম স্ত্রী আকলিমা খাতুন এই অপচেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে। দামুড়হুদা দর্শনা পরানপুরের রকিবুল ইসলাম রাকিবের স্ত্রী মৌসুমি (২২) তুচ্ছ বিষয়ে স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটির পর আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। অপরদিকে দামুড়হুদা উজিরপুরের সেলিমের স্ত্রী জয়নাব (২০) আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। ভাত রান্না করতে দেরি হওয়ায় স্বামীর বকা খেয়ে বিষপান করে বলে জানান তার স্বামী সেলিম। সদর উপজেলার ভাণ্ডারদহ গ্রামের মহর আলীর ছেলে জামাল (৪৫) দ্বিতীয় স্ত্রী একই গ্রামের আনজিরা খাতুনের বাড়িতে বিষপান করেন বলে জানিয়েছে তার প্রথম স্ত্রী তহমিনা খাতুন। তবে বিষপানের কারণ বলতে পারেনি। এদিকে সদর উপজেলার আলুকদিয়া আকুন্দবাড়িয়ার আরজান আলীর ছেলে রাজা (১৮) বিষপানে আত্মহত্যা অপচেষ্টা চালায়। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, জীবননগর সাফদারপুর গ্রামের ওয়াসিমের স্ত্রী শাহানারা খাতুন (২৫) গত সোমবার বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। শাহানারার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী রেফার করেন। তাকে রাজশাহী না নিয়ে হাসপাতালের ভর্তির টিকিট নিয়ে মৃত্যুর আগেই শাহানারাকে নিয়ে অটোযোগে সটকে পড়ে তার পাশে থাকা লোকজন।