মুন্সিগঞ্জে সরকারি খাস জমি দখল বেদখল নিয়ে উত্তেজনা

 

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে সরকারি খাস জমি নিয়ে চলছে দখল-বেদখল চলছে। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আদালতের মামলার রায় হওয়ার আগেই জমি দখল বেদখল নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে চলেছে উত্তেজনা।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন ৬.১৭৪ শতক সরকারি খাস জমি নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে দখল বেদখল নিয়ে উত্তেজনা চলছে। গত কয়েকদিন আগে গড়চাপড়া গ্রামের মৃত মানিক মণ্ডলের ছেলে রবিউল মণ্ডল জমিটির মালিকানা দাবি করে জমির ওপর পাঁচিল স্থাপন করেন। একই জমির মালিকানা দাবিদার জেহালা গ্রামের মৃত তুষ্টলাল বিশ্বাসের ছেলে নিতাই চন্দ্র বিশ্বাস গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা জমিটির পাঁচিল ভেঙে জমিটির দখল নেন। সংবাদ পেয়ে বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই জিয়াউল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জমিটি দখলমুক্ত করেন।

এ ব্যাপারে গড়চাপড়া গ্রামের রবিউল মণ্ডল জানান, জেহালা গ্রামের বুদ্ধিস্বর বিশ্বাসের কাছে থেকে সোনাতনপুর মৌজার ৬৫৭ নং খতিয়ানের ১৪৩৪ দাগের ১৪ শতক জমির মধ্যে ৬.১৭৪ শতক জমি ক্রয় করেন এবং বিক্রেতার ভারতে পাড়ি জমায়। বুদ্ধিস্বরের অপর সরিক নিতাই চন্দ্র বিশ্বাসের অংশ ৫.৪৮ শতক জমি জেহালার খালেক ডাক্তার নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। এছাড়া জমিটির অপর শরিক মৃত নিরাপদ বিশ্বাসের ছেলে দুলাল চন্দ্র বিশ্বাসের নামে ২.৩৩৩ শতক জমি রেকর্ড আছে। জমিটি ক্রেতার নামে রেকর্ড না হওয়ায় ও জমিটির মালিক না পাওয়ায় ১৯৭৪ সালের ৪৫ নং আইনের বিধানে ৬.১৭৪ শতক জমি খাস হয়ে যায়। রবিউল মণ্ডল জমিটি মালিকানা দাবি করে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে রেকর্ড সংশোধনের মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন। বর্তমানে জমিটির মালিক বাংলাদেশ সরকার। চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা চলাকালীন এবং আদালতের মামলার রায় হওয়ার আগেই জমি দখল বেদখল নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে চলেছে উত্তেজনা।