মুঠোফোনে ব্রেন ক্যান্সার!

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মুঠোফোন থেকে বিকিরিত তেজস্ক্রিয়তার কারণে ব্রেন ক্যন্সার হতে পারে। এ কারণেই দু ধরনের ব্রেন ক্যান্সার ছাড়াও হার্ট দুর্বল হয়ে যাওয়া এবং ক্যান্সারের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে। মার্কিন সরকারের এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে বলে জানিয়েছে গতকাল শুক্রবারের দ্য ওয়াল স্ট্রিট জর্নাল। দেশটির ন্যাশনাল টক্সিকোলজি প্রোগ্রামের (এনটিপি) অধীনে পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে। প্রায় আড়াই বছর ধরে ছেলে ও মেয়ে ইঁদুরের ওপর পৃথকভাবে এ বিষয়ে গবেষণা চালায় এনটিপি। রেকর্ড পরিমাণ ২৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করা করা হয়েছে ‘মোবাইল ফোনের সাথে ক্যান্সারের সম্পর্ক’ শীর্ষক এই গবেষেণার পেছনে। এ গবেষণার জন্য আলাদা ২১টি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি চেম্বার তৈরি এবং প্রায় ২ হাজার ৫০০ ইঁদুরকে নিয়মিত সে পরিবেশে লালন-পালন করতে হয়েছে। ছেলে ইঁদুরকে ৯০০ মেগাহার্জ ও মেয়ে ইঁদুরকে ১৯০০ মেগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সিতে নিয়মিত বিরতিতে ১০ মিনিট পর পর ১০ মিনিট করে পরীক্ষাগারে রাখা হয়েছে। দিনে ৯ ঘণ্টা করে তেজস্ত্রিয় বিকিরণে রাখার দুই বছর পর এদের পরীক্ষা করে গবেষকরা জানান, মানুষের সাথে ইঁদুরের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ গ্রহণ ও ফলাফলের অভিজ্ঞতায় তেমন কোনো পার্থক্য নেই। মানুষের মাথার নিউরনে টিউমার সৃষ্টি করতে পারে এই তেজস্ক্রিয়তা। এদিকে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে এ ধরনের ফ্রিকোয়েন্সি এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণগুলো চিহ্নিত করার জন্য তাগিদ দিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলফ অরগানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)। তবে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা প্রতিবেদনটি ২০১৭ সালের শুরুতে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল হেলপ এবং হিউম্যান সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট।
ন্যাশনাল টক্সিকোলজি প্রোগ্রামের গবেষক রন মেলনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, অনেক মানুষ বলে মুঠোফোন ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই। এবার আর সেটা বলা সম্ভব না। ঝুঁকি আছে।