মুজিবনগর বল্লভপুর মিশন হাসপাতালের আবাসিক সার্জন সাময়িক বরখাস্ত

 

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর মিশন হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. রিচার্ড সরেন উত্তমের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা, মাদকদ্রব্য সেবন, রোগীদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ বিয়ে না করে অন্য নারীর সাথে অবৈধ বসবাসের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

মুজিবনগর উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের ইমরানের গর্ভবতী স্ত্রী শাবনুরকে কেদারগঞ্জ বাজারে একটি ক্লিনিকে নেয়া হয়। ক্লিনিকের চুক্তিভিক্তিক ডাক্তার রিচার্ড সরেন উত্তম তার আল্টাসোনো পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিক সিজার করার কথা বলেন। পরপরই রোগীকে মেহেরপুরের একটি ক্লিনিকে আল্টাসোনো করালে যানা যায় দু মাস পর সিজার করতে হবে। ডাক্তার রিচার্ড সরেন উত্তমের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেন মুজিনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের ইছার স্ত্রী সাহিদা খাতুন ও শিবপুর গ্রামের সামুর স্ত্রী ফারজানার ক্ষেত্রে। এছাড়া মাদকব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে অর্থ ধার করে পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন তাই পাওনাদাররা এখন ওই ডাক্তারের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

বল্লভপুর মিশন হাসপাতালে দায়িত্বে অবহেলা, রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া, মাদকদ্রব্য সেবন এবং এলাকার মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মেলামেশা করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগে গত ২৮ জুন বল্লভপুর মিশন হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটি হাসপাতালের অফিস রুমে আলোচনাসভা শেষে সর্বসম্মতিতে আগামী ৩১ জুলাই থেকে ডা. রিচার্ড সরেন উত্তমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং গত ২১ জুলাই সোমবার বল্লভপুর মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ডাক্তারকে ডেকে মৌখিকভাবে বলে দিয়েছে ৩১ জুলাইয়ের পর থেকে হাসপাতালে না আসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছেন।

এবিষয়ে ডা. রিচার্ড সরেনের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বল্লভপুর মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে এখনও লিখিতভাবে নিয়োগ প্রদান করেনি। আমি গত ৭/৮ মাস যাবত মাসিক ৩৫ হাজার টাকার পারিশ্রমিকে মৌখিক চুক্তিতে বল্লভপুর মিশন হাসপাতালে চাকরি করছি। তিনি আরো বলেন, আমি কোনো রোগীর নিকট থেকে কোনো টাকা পয়সা নিইনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং আমি কোনো মাদকদ্রব্য সেবন করি না।আমার বিরুদ্ধে বিয়ে বহির্ভুত বসবাসের যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কোর্ট ম্যারেজ করেছি।