মুজিবনগর তারানগরের কৃষক আবু বক্করের লাশ উদ্ধার : আড়ালে কলা চুরি?

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের কৃষক আবু বক্করের (৪৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকাল নয়টার দিকে বাড়ির অদূরবর্তী একটি আমবাগান থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। হত্যাকাণ্ড নাকি অন্য কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। মৃত্যৃর নেপথ্য উন্মোচনে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।

গতকাল লাশ উদ্ধার করার পর মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে  ময়নাতদন্ত করা হয়। মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, তারানগর গ্রামের মৃত ফকির মহাম্মদের ছেলে আবু বক্করকে কলাচুরির অভিযোগে কোনো এক ক্ষেতমালিকের লোকজন হত্যা করেছে কি-না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশের পাশ থেকে কিছু কলা উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারানগর গ্রামের লিফন মণ্ডলের আমবাগানে কৃষক আবু বক্করের লাশ পড়ে থাকতে দেখে সকালে স্থানীয় লোকজন মুজিবনগর থানায় খবর দেয়। পুলিশ লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে নেয়। লাশের পাশ থেকে কয়েক কাঁদি কলা উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে, এক সময় তার বিরুদ্ধে ছিঁচকে চুরির অভিযোগ থাকলেও সম্প্রতি আবু বক্কর গরু পালন পেশা হিসেবে নিয়েছেন। আবু বক্করের স্ত্রী জেসমিন খাতুন জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে রাতের খাওয়া শেষ করে বড় ছেলের বাড়িতে যান। সেখানেই তিনি গরু পালন করতেন। সকালে মৃত্যুর খবর আসে। কীভাবে এটি হতে পারে তা তিনি নিশ্চিত নন।

মুজিবনগর থানার ওসি আরো জানিয়েছেন, তার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধারের  স্থান বেশ দূরে। রাতে তিনি কীভাবে সেখানে গেলেন তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া তার ব্যক্তিগত তেমন শত্রুও নেই। তাই তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন তা নিশ্চিত হতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা কিংবা পুলিশ। এর আগে তিনি একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গতকালই আবু বক্করের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি মিজানুর রহমান। তারানগর গ্রামের মৃত ফকির মহাম্মদের চার ছেলের মধ্যে আবু বক্কর দ্বিতীয়। তিনি তিন ছেলের জনক।