মুজিবনগরে সন্ত্রাসীদের দু পক্ষের গোলাগুলিতে চরমপন্থি নেতা নজি নিহত

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী এলাকায় সন্ত্রাসীদের দু পক্ষে মধ্যে গুলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে। গতরাত সোয়া দুইটার দিকে মোনাখালী গ্রামের কোমরগর্ত নামক মাঠে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আহসান হাবীব এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, নিহত ব্যক্তি যতারপুর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মজিবুল হক মজি বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবীব জানান, রাত সোয়া ২টার দিকে মোনাখালী কোমরগর্ত মাঠের একটি বটগাছের আশেপাশে দু দল সন্ত্রাসীদের মাঝে তুমুল বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। মুর্হুমুর্হু গুলিতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। মধ্যরাতে এ ধরণের ঘটনায় পুলিশও ছিলো চিন্তিত। মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের তিনটি দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছান। তখনও গুলির লড়াই চলছিলো। অত্যান্ত কৌশলের সাথে পুলিশ তাদেরকে দুই দিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছিলো। এক পর্যায়ে থেমে যায় গুলির আওয়াজ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এলাকার মানুষের সহায়তায় ঘটনাস্থল তল্লাশিকালে একজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের মজিবুল হক ওরফে মজি বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে ১টি এলজি শার্টারগান, ২টি কার্তুজ খোসা, ৪টি তাজা কার্তুজ, ৩টি বোমা, ২টি রামদা ও ১টি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম যদি মজু হয়ে থাকে তাহলে সে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ডাকাত উল্লেখ করে আহসান হাবীব আরও বলেন, মজুর নামে সদর ও মুজিনগর থানায় অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে। এর মধ্যে হত্যা ৩টি, ডাকাতি ও হত্যা ৪টি, ৩টি বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে রাখা হয়েছে। এর স্বজনরা আসলেই পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।