মুজিবনগরে দু পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ আহত ৯

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বাবুপুর গ্রামে দু পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশের একজন এএসআইসহ ৯ জন আহত হয়েছে। ঈদগাহের জমির বিরোধ নিষ্পতি সংক্রান্ত সালিস নিয়ে দ পক্ষের মধ্যে গতরাত ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হচ্ছেন কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই মাসুদ রানা, বাবুপুর গ্রামের মগরেব আলী পক্ষের মৃত আরব আলীর ছেলে কিতাব আলী (৪০), বাবু শেখের ছেলে মানিক হোসেন (২৪), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৫)। কালু মিয়া পক্ষের জোনা শেখের ছেলে নজু শেখ (৪০), মৃত আকালী মিয়ার ছেলে আব্দুর রশিদ (৪০), খোদা বকসের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৪), আব্দুর কুদ্দুসের ছেলে আব্দুর রাকিব (৩২) ও শহিদুল ইসলামের ছেলে টুটুল মিয়া (২৭)।
এএসআই মাসুদ রানাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে তার মাথায় ইটের আঘাত লাগে। দু পক্ষের আহত আট জনকে মুজিবনগর ও মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাবুপুর গ্রামের ঈদগাহে চলাচলের রাস্তা নিয়ে গ্রামের বসতিপাড়া ও রিফুজিপাড়ার বাসিন্দাদের মাঝে বিরোধ চলে আসছে। মীমাংসার জন্য মহাজনপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুপুর গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের বাড়ির পাশে গত রাতে সালিস বসে। বসতিপাড়ার কালু শেখের লোকজন সালিসে উপস্থিত হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ রিফুজিপাড়ার মগরেব আলীর লোকজন উপস্থিত হননি। এতে সালিসে উত্তেজনা দেখা দেয়। কালু শেখের লোকজন মগরেব আলীর লোকজনকে জোরপূর্বক ধরে আনতে যায়। সালিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাদের চাপ দেয়া হয়। বাকবিত-ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। উভয় পক্ষের লোকজন একে অপরের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। খবর পেয়ে কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় ইটের আঘাতে এএসআই মাসুদ রানা আহত হন। পরে মুজিবনগর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ সময় শহিদুল ইসলাম মেম্বারসহ কয়েকজনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে মুজিবনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, আহত পুলিশ কর্মতর্কা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার চিকিৎসা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষ এখনো পর্যন্ত মামলা দায়ের করেননি। তবে পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।