মুজিবনগরের কোমরপুর বাজারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

মুজিবনগর প্রতিনিধি: মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর বাজারে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাজারের নৈশ প্রহরীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন মালামাল লুটে নেয় একদল ডাকাত। তবে পুলিশ বলছে এটি ডাকাতি নয় চুরি।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, কোমরপুর বাজারের জহুরুল ইসলাম মেম্বারের বাসার নিচে ৬/৭টি দোকানে প্রথমে হানা দেয় ডাকাতদল। বাসার সিড়ির গ্রিল ভেঙে একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল এবং দোকানের মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। আব্দুর রাজ্জাক ও মারুফ হোসেনের জুয়েলার্স এবং আব্দুল হান্নানের মুদি দোকান থেকে সোনারগয়না এবং নগদ টাকা লুটে নেয়। কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের সামন্য দূরে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশ যথাসময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়। বাজারের নৈশপ্রহরীদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সন্ধ্যায় জহুরুল ইসলামের ছেলে লাল মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে মুজিবনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এদিকে গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মেহেরপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল জলিল। এ সময় ভুক্তভোগীসহ এলাকার মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উত্থাপন করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোমরপুর, মহাজনপুর ও বাবুপুরসহ আশেপাশের এলাকা সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ছিনতাই, ডাকাতি ও মানুষ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে। সন্ধ্যা হলেই এলাকার মানুষের ওপর সন্ত্রাসীদের অত্যাচার শুরু হচ্ছে। সন্ধ্যার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। প্রতি রাতেই ঘটছে বোমা বিস্ফোরণ। সহকারী পুলিশ সুপার এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, যেকোনোভাবে এলাকা সন্ত্রাসমুক্ত করা হবে। এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে গতকালই কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মুস্তাজাব আলীকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল। তার স্থলে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এএসই অজিত কুমারকে। তিনি গতকাল থেকেই কোমারপুর ক্যাম্প ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। সন্ত্রাসী ও ডাকাতসহ অপরাধীদের নির্মূলে এলাকার মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে জেলা পুলিশ।