মুক্তিযোদ্ধা ভাতার টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার থেকে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকায় উন্নীত

স্টাফ রিপোর্টার: দেশব্যাপি বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধা নামের তালিকা অন্তর্ভুক্তি শুরু হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ওয়েব সাইটে নাম অন্তর্ভুক্তি করা যাবে। পাঁচটি তালিকার মধ্যে নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলেই তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা ১২ মাসের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ৩৬ হাজার টাকা ও একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ভাতার টাকা অনুমোদন এবং ব্যাংকে টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ একাউন্টে প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান জুলাই মাস থেকে ভাতার টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার থেকে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যে সকল মুক্তিযোদ্ধার নাম এখনো মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয়নি সেই সকল ব্যক্তিরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ওয়েব সাইটে নাম অন্তর্ভুক্তি জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদেরকে আবেদন করতে হবে। তারাই আবেদন করতে পারবেন, যাদের নাম মুক্তি বার্তা, সাময়িক সনদ, কেন্দ্রীয় কমান্ড সনদ, সরকারি গেজেট ও ডাটাবেজে নাম রয়েছে তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের ১ম থেকে ৪র্থ কিস্তির ১২ মাসের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ৩৬ হাজার টাকা ও একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ভাতার ৯ হাজার টাকা গত ২৫ জুন অনুমোদন এবং সোনালী ব্যাংকে টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ একাউন্টে প্রদান করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় মোট ৫৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। এর মধ্যে ৪২৭ জন জীবিত ও ১০৩ জন মৃত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী সম্মানি ভাতা পাচ্ছেন।

২০ জন মুক্তিযোদ্ধা যারা ভাতার টাকা পেলেন, তারা হলেন-চুয়াডাঙ্গা বাজারপাড়ার সাইফুল হাসান জোয়ার্দ্দার, বড় মসজিদপাড়ার আনোয়ারুল ইসলাম, বদরগঞ্জ বাজারের আলফাজ উদ্দিন, হায়দারপুরের মহি উদ্দিন আহমেদ, তালতলার মাহবুব হোসেন বিশ্বাস, জাফরপুরের আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, কোর্টপাড়ার আব্দুর রহমান, বড় আড়িয়ার আজিজুল হক, বোয়ালিয়ার শামসুন্নাহার বেগম, বাগানপাড়ার নুর বকসো, গবরগাড়ার মনোয়ারা বেগম, বাগানপাড়ার আকবার আক্তার জোয়ার্দ্দার, পলাশপাড়ার রহমত আলী বিশ্বাস, মুক্তিপাড়ার মেসবাহ উল হক, লেলপাড়ার আবেনুর বেগম, জোয়ার্দ্দারপাড়ার মসিউল আনোয়ার জোয়ার্দ্দার, বেলগাছির আবু ছালে উদ্দিন, কোর্টপাড়ার মাহবুবুর রহমান, সুমিদিয়ার হারেজ আলী ও যদুপুরের হারেজান খাতুন। এছাড়াগোরস্তানপাড়ার মৃত আব্দুল ওহাব মণ্ডলের স্ত্রী ছালেহা বেগম স্বামীর পরিবর্তে সম্মানি ভাতা পাচ্ছেন।

এছাড়া ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা পিতা-মাতার মৃত্যুর পর সন্তানরা পাবেন বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবেএকাধিক সন্তান থাকলে কে ভাতা উত্তোলন করবেন এ জটিলতায় কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।