মিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বাজিতপুরে কবর খুঁড়ে লাশের শরীর থেকে কাফনের কাপড় মাথার চুল ও নখ কেটে নিয়ে গেছে

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: কবর খুঁড়ে লাশের শরীর থেকে কাফনের কাপড়, মাথার চুল ও নখ কেটে নেয়ার জঘন্য ঘটনা ঘটেছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার মিরপুর উপজেলার বাজিতপুরের আত্মহত্যাকারী এক গৃহবধূর লাশ যথারীতি দাফন করা হলে পরদিন এ ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীর সন্দেহের তীর একই গ্রামের প্রভাবশালী ১ ভণ্ড মহিলা কবিরাজের দিকে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বাজিতপুরের হেলালের স্ত্রী রওশন আরা গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওই দিনই গ্রামের কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। এ ঘটনার ১ দিন পর গতকাল সোমবার ভোরে গ্রামবাসী রওশন আরার কবর খুঁড়ে রাখা দেখতে পায়। তাদের মধ্যে উৎসুক অনেকে কবরের নিকট গিয়ে ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান। তারা দেখেন কবরের মাটি খুঁড়ে কবরের আতালে তুলে নেয়া হয়েছে। মুহূর্তে খবরটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। দলে দলে নারী-পুরুষ কবরের নিকট ছুটে যায়। গ্রামের অনেকে ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করলে দেখতে পান- লাশের কাফনের কাপড়, মাথার চুল ও হাত-পায়ের নখ কেটে নেয়া হয়েছে। পরে গ্রামবাসী শাড়ি দিয়ে লাশ জড়িয়ে পুনরায় দাফন করে।
এ ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় রয়েছে বেশ কিছু ভণ্ড মহিলা কবিরাজ। কবিরাজি কাজে ব্যবহারের জন্যই এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে ভণ্ড কোনো কবিরাজ। প্রত্যন্ত গ্রাম বাজিতপুর ও পার্শ্ববর্তী মেকুরপুরে প্রায় হাফডজন ভণ্ড মহিলা কবিরাজের ব্যবসার বেশ সুসার। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ বাজিতপুরের রবিউলের স্ত্রী লাখি খাতুন, সিদ্দিকের স্ত্রী, মেকুরপুরের মেজরের স্ত্রী, শুকচা বাজিতপুরের আমজাদের স্ত্রী অন্যতম। এলাকার সবচে বেশি মানুষের সন্দেহের তীর লাখি খাতুনের দিকে।
গ্রামসূত্রে জানা গেছে, এ সংবাদ জানতে পেরে মিরপুর থানা পুলিশ গতকাল বিকেলে বাজিতপুর গ্রামে যায়। পুলিশ সকল কবিরাজকে ডেকে এ ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা তাদের নাম জানতে চেয়েছে।