মিনি থানা হচ্ছে জেনে বড়গাংনী মোড়ে মিষ্টিমুখ : আসমানখালীতে দীর্ঘশ্বাস

পুলিশি তদন্ত স্থাপনের স্থান নিয়ে আসমানখালী ও বড় গাংনীর দীর্ঘ আইনি লড়াই এবং

 

স্টাফ রিপোর্টার: মিনি থানা তথা পুলিশি তদন্ত কেন্দ্রটি কোথায় হবে? আসমানখালী নাকি গাংনী? এ নিয়ে দীর্ঘ আইনে লড়াইয়ের অবসান হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিনি থানাটি বড়গাংনী মোড়ে স্থাপনেরই রায় হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের এ আদেশের খবর পৌঁছুলে গতকাল বৃহস্পতিবার গাংনী মোড়ে উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে। অনেকেই মিষ্টি বিতরণ করেন। একজন অপরজনের মুখে মিষ্টিও তুলে দেন। অপরদিকে আসমানখালী বাজারের ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই ছাড়েন দীর্ঘশ্বাস।

জানা গেছে, আসমানখালী বধিষ্ণজনপদ। দীর্ঘদিনের বাজার। আসমানখালী মিনি থানাটিও আসামনাখালীতেই অস্থায়ী দীর্ঘদিন পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০০০ সালে ৪ বিঘা জমিও দিয়েছে। অপরদিকে বড় গাংনী মোড়ে ১৯৯৬ সালে ১০ বিঘা জমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়ে সেখানে পুলিশি তদন্তকেন্দ্র স্থাপনের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে গাংনীসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসীরা। তারা বলেছে, ১৯৯৯ সালের ৮৩তম নিকারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বড়গাংনী বাজারে তদন্তকেন্দ্র নামাকরণপূর্বক বড়গাংনী বাজারে স্থাপনের প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে দানকৃত জমিতে বড়গাংনী বাজারে পুলিশি তদন্তকেন্দ্র স্থাপনের জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারকে নির্দেশও দেয়া হয়। আইনে লড়াইয়ে থেমে যায় সে কাজ। আসমানখালী বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবি, আলমডাঙ্গার আসমানখালী বাজারেই পুলিশি তদন্তকেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বড় গাংনীতে স্থাপনের জন্য তারা দাবি জানায়। এরই প্রেক্ষিতে শুরু হয় আইনি লড়াই।

চুয়াডাঙ্গার আলমাডাঙ্গা উপজেলার বড়গাংনীর আবু তাহের আবু, শিক্ষক বেল্টু রহমান, ইউপি সদস্য জর্জ, আল আমিন মেম্বার, ইব্রাহিম হোসেনসহ কয়েকজন গতকাল মাথাভাঙ্গাকে বলেছেন, গাংনী বাজারে পুলিশি তদন্তকেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে ১০ বিঘা জমি প্রদান করা হয়। সরকারি প্রজ্ঞাপনও জারি হয়। অথচ মামলার কারণে তা থেমে ছিলো। উচ্চাদালত ২০০১ সালে বড়গাংনী বাজারে পুলিশি তদন্তকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে রায় প্রদান করেন। আপিল করে আসমানখালী বাজারপক্ষ। সুপ্রিমকোর্টেও বড়গাংনী বাজারের পক্ষেই রায় দিয়েছেন। গতপরশু এ রায় পাওয়া যায়। গতকাল এলাকায় খবর পৌঁছায়। এরপরই উৎসবের আমেজ ফুটে ওঠে। মিষ্টি বিতরণও চলে দীর্ঘ সময় ধরে। গাংনী পক্ষে বাদী হয়ে মামলায় লড়েন মিঞা হারুন অর রশিদ।