মিনায় নিহত বাংলাদেশীর সংখ্যা বেড়ে ৫১

সৌদি আরবের মিনায় পদদলনের ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী হাজির সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১৩১ জন। সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্যের বরাত দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ জানান, এ মুহূর্তে ৬৩ বাংলাদেশী হাজিকে মক্কা ও জেদ্দার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই রয়েছেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। এই হাজিদের সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে, কবে তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে সে বিষয়টি।

নিহত কিছু হাজির মরদেহ চিহ্ণিত করে তাদের আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে মক্কাতেই দাফন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হজ মিশন। কনস্যুলেট ও মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের কর্মকর্তারা বাকি মরদেহগুলোর পরিচয় নিশ্চিত করতে কাজ করছেন।

এখন পর্যন্ত নিখোঁজ হাজিদের স্বজনদের মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সে সঙ্গে মৃতদেহ শনাক্ত করতে সহায়তার জন্য ১০৭ নম্বর কক্ষে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। ফোন করা যাবে ০০৯৬৬-(০)১২৫৪১৩৯৮০ এই নম্বরে। এ ছাড়া, হাজিদের পরিচয় জানতে ই-মেইল করা যাবে missionhajj@gmail.com—এই ঠিকানায়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুজদালিফা থেকে শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপের জন্য মিনায় যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। মক্কা থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের এ ঘটনায় নিহত প্রায় ১২শ’ হাজী। ইতিমধ্যে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিহত ১২শ’ হাজির ছবি প্রকাশ করেছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হন আরো ৯৩৪ জন। গত পঁচিশ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হজ দুর্ঘটনা। নাইজেরিয়ার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ওই কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, জেদ্দার মর্গে ১০৭৫ জনের লাশ আনা হয়েছে। তবে সৌদি সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মানুসর আল তুর্কি বলেন, ওই মর্গে হজে বিভিন্নভাবে নিহত হাজিদের আনা হয়েছে। সেখানে যেসব মরদেহ রাখা হয়েছে তাদের সবাই পদদলিত হয়ে মারা যাননি।