মিজান চেয়ারম্যান হত্যামামলায় আ.লীগ নেতা মোমিন মাস্টারের আদালতে আত্মসমর্পণ

জেলহাজতে প্রেরণ

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা নতিপোতার মিজান চেয়ারম্যান হত্যামামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোমিন মাস্টার আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি গতকাল রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। এই মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৪ জন আসামির মধ্যে হোগলডাঙ্গার আনারুল এখনও পলাতক রয়েছে। বাকিরা সকলেই পর্যায়ক্রমে জামিন লাভ করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১২ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউপির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মস¤পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে একদল সন্ত্রাসী তার ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। পরদিন নিহত মিজানের স্ত্রী ডলি খাতুন বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় সন্ত্রাসীদের নামে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ আলোচিত ওই মামলায় হোগলডাঙ্গার রবিউল ইসলাম (৪০), একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৩৯), আব্দুল হান্নান (৪০), জমির উদ্দিন (৪২), দামুড়হুদা দশমীপাড়ার রোকনুজ্জামান রকু (৩৫), ভগিরথপুরের মাসুদ রানা (৩৭), নতিপোতার জাহাঙ্গীর আলম (৩০) ও নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহজাহান শেখ, পরিদর্শক রাম প্রসাদ ভক্ত, উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান এবং জিয়াউল হক পর্যায়ক্রমে মামলাটি তদন্ত শেষে বছর দেড়েক আগে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তরিত হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর শরীফ মঞ্জুর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে সাড়ে তিন মাস আগে দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গা গ্রামের মৃত হানেফের ছেলে রবিউল, একই গ্রামের মৃত তুফানের ছেলে হান্নান, মৃত মোহাম্মদের ছেলে শহিদুল, আকবারের ছেলে জমির, ইসাহকের ছেলে আশাদুল, আমজাদের ছেলে আনারুল, মৃত মহি উদ্দিন সরকারের ছেলে রোকুনুজ্জামান, ভগিরথপুরের মাসুদ রানা, নতিপোতার জাহাঙ্গীর, ছুটিপুরের সোহাগ, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক আব্দুল আজিজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন মাস্টারসহ মোট ১৪ জনের নামে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। এরমধ্যে ছুটিপুরের সোহাগ মারা গেছে এবং হোগলডাঙ্গার আনারুল ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। গত ১২ অক্টোরর মিজান হত্যাকাণ্ডের ৪ বছর পূর্ণ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিজানুর রহমান মিজান নতিপোতা ইউপির ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছিলেন। নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় পট পরিবর্তন হলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং মিজান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পান।