মালয়েশিয়ায় ৯৫২বাংলাদেশি শ্রমিকেরআত্মসমর্পণ

 

স্টাফ রিপোর্টার: গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৯৫২ জন অবৈধ বাংলাদেশিশ্রমিক মালয়েশিয়া থেকে স্বেচ্ছায় বাংলাদেশে ফিরে আসতে আত্মসমর্পণ করেছেন।আর এখনও যারা কাগজপত্র ঠিক করতে পারেননি তারা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে৩০০ রিংগিত জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। গত ১ আগস্ট মালয়েশিয়ার স্টারঅনলাইনে এ খবর বেরিয়েছে। দেশটির অভিবাসন
বিভাগের উপমহাপরিচালকদাতুক সাকিব কুসমি বলেন, ‘স্বেচ্ছা নির্বাসন কর্মসূচির’ আওতায় গত ১০ দিনে ৩হাজারের বেশি বিদেশি শ্রমিক তাদের নিজে নিজ দেশে ফিরে যেতে আত্মসমর্পণকরেছেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের সংখ্যা ৩০ হাজারে পৌঁছুতে পারে বলেআমরা আশা করছি।’

মালয়েশিয়া সরকার গত জানুয়ারি থেকে বৈধ কাগজপত্র নাথাকা বিদেশি শ্রমিকদের দেশে পাঠাতে বাধ্য করছে। ২০১১ সালের অক্টোবর থেকে২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয় সরকারের সিক্স পি কর্মসূচির আওতায়বিদেশী শ্রমিকদের জন্য অ্যামনেস্টি চলেছে। এরপর থেকে তারা দেশ থেকে ৪ লাখঅবৈধ বিদেশি শ্রমিক বিতাড়নের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। অবৈধ শ্রমিকদেরচাকরি দিলে মালিকদের ১৫ হাজার ৭৯ ডলারের জরিমানা করা হচ্ছে।

গতসপ্তাহে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি ড. আহমাদ জাহিদ হামিদিঘোষণা দিয়েছেন, ‘২ লাখ ইন্দোনেশিয়া অবৈধ শ্রমিক বর্তমানে তাদের দেশ অবস্থানকরছে। তারা প্রত্যেকে ন্যূনতম ৩০০ রিংগিত জরিমানা দিয়ে তাদের দেশে ফিরেযেতে পারে।’ তবে তার এ ঘোষণা কেবল ইন্দোনেশিয়াদের জন্য নয়, সব অবৈধবিদেশি শ্রমিকের জন্যই প্রযোজ্য। মন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, বিদেশিশ্রমিকদের জন্য এ সুযোগ ১৮ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে।’

স্টারঅনলাইন বলেছে, সরকারের এটা একটি সাধারণ ক্ষমা। এ ঘোষণার আগে বিদেশীশ্রমিকরা নিজ দেশে ফিরতে গিয়েও সিন্ডিকেট সদস্যদের খপ্পরে পড়তো। আর তখনতাদের ২ হাজার রিংগিত পর্যন্ত পরিশোধ করতে হয়েছে।সাকিব কুসমি বলেছেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ১৫ হাজার ১০৯ জন বিদেশি শ্রমিক কর্তৃপক্ষের কাছেআত্মসমর্পণ করেছেন। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার ১৯৫৯, নেপালের ১৯৫৯, ভারতের ১৮৫৮, ফিলিপাইনের ১৬২৯, ইন্দোনেশিয়ার ১৬০৬, মিয়ানমারের ১০৬, পাকিস্তানের ১০০৯, বাংলাদেশের ৯৫২ এবং ভিয়েতনামের ৯৪৮ জন রয়েছেন। তিনি বলেন, তারা আগামী তিনমাসে এ কর্মসূচির কার্যকারিতা পরীক্ষা করবেন। যারা আত্মসমর্পণ করবেন, তাদেরবায়োমেট্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এর মাধ্যমে এটা নিশ্চিত করাহবে, যারা একবার মালয়েশিয়া থেকে বেরিয়ে আসবেন তারা আর কখনই মালয়েশিয়ায়ঢুকতে পারবেন না। কেউ যাতে ভিন্ন পরিচয়েও ঢুকতে না পারেন, সে জন্য তাদেরবায়োমেট্রিক পরীক্ষা করানো হবে।