মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে তেল চুরির সময় চোর পাকড়াও

 

 

 

স্টাফ রিপোটার:চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় মালবাহী ট্রেনইঞ্জিন থেকে ডিজেল চুরির সময় একজনকে হাতে নাতে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাকে ধরে চোরাই তেলসহ পুলিশে দিয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকালে আন্দুলবাড়িয়া স্টেশনপাড়ার জহুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে আলমসাধুচালক কবীর হোসেনকে তেলসহ আটক করে স্থানীয় জনতা জীবননগর থানায় খবর দেয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ বেলা ১০টার দিকে প্রায় ৭০ লিটার চোরাই তেলসহ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ বলেছে, ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ডিজেল পাচারকারী সিন্ডিকেট চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার করার জোরপ্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ট্রেন ইঞ্জিন থেকে ডিজেল পাচারকারীচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজনের সহযোগিতায় স্থানীয় একটি চক্র প্রতিদিন আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশন এলাকায় রামরাজত্ব চালিয়ে আসছে। এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দা গণভয়ে আতঙ্কে প্রতিবাদ করার সাহস হারিয়েছে। প্রতিবাদ করলেই তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনসহ জীবননাশের হুমকি। স্থানীয় ওই গ্যাং গ্রুপটি ঝিনেইদহের কালিগঞ্জ এলাকার একটি তেল চোর সিন্ডিকেট চক্রের সহযোগিতায় খুলনা ও দর্শনা রেলপথের আপ-ডাউন মালবাহী ট্রেন থামিয়ে অসাধু ড্রাইভার ফাইয়ারম্যানের সাথে বিশেষ সখ্যতা গড়ে তুলে প্রতিদিন স্বল্প টাকার বিনিময় শশ লিটার ডিজেল তেল ক্রয় করে স্থানীয় বাজারের কয়েকজন অসাধুব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে আসছে। গতকাল সোমবার সকালে আন্দুলবাড়িয়া স্টেশনপাড়ার জহুরুল ইসলাম সরকারের ছেলে কবীর হোসেন আলমসাধু গাড়িতে প্রায় ৭০ লিটার চোরাই ডিজেল তেল স্থানীয় বাজারের মিস্ত্রিপাড়া মোড়ে মুদিব্যবসায়ী মহিদুল ইসলামের নিকট বিক্রি করাকালে বাজার কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মির্জ্জা হাকিবুর রহমান লিটনের সহযোগিতায় স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে খবর দেয়। জীবননগর থানার ওসি এসএম ইকবাল আহম্মদের নির্দ্দেশে সেকেন্ড অফিসার এসআই লুৎফর কবীর হোসেন ও শাহাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই শহিদুল ইসলাম শহীদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি প্লাষ্টিক কন্টিনার ভর্তি চোরাই ৭০ লিটার ডিজেল তেলসহ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে। চোরাই ডিজেল তেল পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক করার খবর পেয়ে স্থানীয় সুবিধাভোগকারী কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা তাদের ছাড়াতে গতকাল দিনভর থানা এলাকায় দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করে। থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম ইকবাল আহম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে গ্রেফতারকৃতর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।