মার্চে চুয়াডাঙ্গার ৬টিসহ ১২৫ ইউপিতে নির্বাচন করতে প্রস্তুত কমিশন

শিগিরই তফসিল ঘোষণা : গড়াইটুপির নির্বাচন নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন
বেগমপুর প্রতিনিধি: মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৬টি ইউপিসহ ৫১টি জেলায় ১২৫টি পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে এসব নির্বাচনের ভোটের দিন নির্ধারণ করা হতে পারে। এ মাসে তফসিলও ঘোষণার কথা জানিয়েছে ইসি সচিবালয়। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় এ নির্বাচনে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা। তবে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি’র নির্বাচন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
সূত্রে জানা গেছে, মামলাসহ বিভিন্ন কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বছরের পর বছর ভোট হয় না এমন ৩৫টি এবং নতুন ইউনিয়ন গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখন ভোট হয়নি এমন ১১টিসহ মোট ৪৬টি ইউপিতে সাধারণ নির্বাচন হবে। অন্যদিকে ৮৫টি ইউনিয়নের ৯৩টি শূন্য পদে নির্বাচন করবে ইসি। নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা এবং ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে তফসিল দিয়ে মার্চের শেষে ভোট করার প্ররিকল্পনা রয়েছে। এখন কমিশন বৈঠকে চুড়ান্ত হলে তারিখ ঘোষণা হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন উপযোগী ৪৬টি ইউনিয়নের সাধারণ ও স্থগিত এবং ৮৫টি ইউনিয়নে ৯৩টি পদে উপ-নির্বাচনের জন্য সর্বশেষ হালনাগাদ ভোটারসহ ছবিছাড়া ও ছবিসহ ভোটার তালিকার সিডি পাঠানো হয়। পরে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা সিডি যাচাই করে ৮ ফেব্রুয়ারি কমিশনে পাঠিয়েছে। এখন সব প্রস্তুত করা হচ্ছে নির্বাচনের তারিখ ঠিক হলে ভোট হবে। ইসি কর্মকর্তারা জানান, দেশের অনেক ইউনিয়ন পরিষদ আছে সীমানা জটিলতাসহ বিভিন্ন মামলার কারণে ১০ থেকে ১৫ বছর ভোট হয় না। এসব ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রয়েছেন। কমিশন ইউপিগুলোতে ভোট দিয়ে দ্রুত দায়মুক্ত হতে চায়। যেসব ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার নাগদহ, আইলহাঁস, বাঁকা, হাসাদাহ, রায়পুর এবং গড়াইটুপিসহ ৫১টি জেলার ১২৫টি ইউনিয়ন পরিষদ। তবে এই তালিকা থেকে ইউপির সংখ্যা বাড়তে বা কমতে পারে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে জেগেছে নানা প্রশ্ন? কারণ তিতুদহ ইউপি বিভক্ত হয়ে নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদ হয়েছে। যদি ফেব্রুয়ারি মাসে তফশিল ঘোষণা হয় তাহলে তিতুদহ ইউপি নিয়ে কি হবে। কারণ তিতুদহ ইউপি’র বর্তমান চেয়ারম্যান আকতার হোসেন। যার বাড়ি গড়াইটুপি ইউনিয়নের গড়াইটুপি গ্রামে। গড়াইটুপিতে বাড়ি হবার সুবাদে তিনি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তাহলে কি হবে? তিনি কি তাকে ইস্তফা দিয়ে গড়াইুটপিতে নির্বাচন করতে হবে? না কি তিতুদহ ইউপির চেয়ারম্যান থেকেই নবগঠিত গড়াইটুপি ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাব জানতে কৌতুহলী হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন অফিসার রাজু আহমেদ বলেন, তিতুদহ ইউপির চেয়ারম্যান থেকেও তিনি নবগঠিত গড়াইটুপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এতে আইনগত কোনো বাঁধা নেই। তারপরও মঙ্গলবার ৬টির মধ্যে কোনো কোনো ইউপিতে চুড়ান্তভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আইনগত বাধা নেই তার চুড়ান্ত তথ্য ইসিতে পাঠাবো। আর এর মধ্যে যদি আইনগত কোনো সমস্য দেখা দেয় তবে সেটা পরে ভাবা হবে।