মার্চে আরও ২০০ উপজেলায় নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে চাঙা হয়ে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি। অরাজনৈতিক এ নির্বাচনে এবার পুরোই থাকবে নির্বাচনী আমেজ। জাতীয় নির্বাচন বর্জন করা প্রধান বিরোধী জোটের সমর্থন নিয়ে প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন নির্বাচনকে ঘিরে। আওয়ামী লীগও দল সমর্থিত একক প্রার্থী দেয়ার চিন্তা করছে। এজন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকে চলছে লবিং, তদবির। হয়ে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনে ভোটের উৎসব না হওয়ায় উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ভোট উৎসব হবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের ভোটাররা। রোববার ১০২টি উপজেলার তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগির আরও ২০০ উপজেলার নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে। মে মাসের মধ্যে বাকি উপজেলাগুলোতে পর্যায়ক্রমে নির্বাচন হবে। এদিকে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফা তফশিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনী আমেজ বইছে প্রতিটি এলাকায়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে জনসংযোগ শুরু করেছেন।  ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। এদিকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আলোচনা। দলীয় সমর্থন আদায়ে চলছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। অনেক উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যানদের বিপরীতে নিজ দলের প্রার্থীরাই নির্বাচন করতে চাইছেন। এতে তাদের পক্ষে-বিপক্ষে প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠছে নির্বাচনী এলাকা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের পক্ষে জনমত দেখানোর জন্য ইতোমধ্যে আগাম প্রচারণা শুরু করেছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এদিকে বিএনপি ও ১৮ দলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কোন নির্দেশনা না থাকলেও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নির্বাচনের মাঠে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রার্থিতা নিয়ে স্থানীয়ভাবে আলাপ-আলোচনাও হচ্ছে।