মামলা তুলে না নেয়ায় চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহের মিনারুলকে তুলে নিয়ে যাবার সময় বাঁধা

সুবদিয়া গ্রামের মনিরুলকে ধরে উত্তম মধ্যম
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: মামলা তুলে না নেয়ায় ৫লাখ টাকা দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ডিঙ্গেদহ মানিকদিহির মিনারুলকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাজারের লোকজন উত্তম-মধ্যম দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদরের সুবদিয়া গ্রামের জাকির হোসেন টিক্কার ছেলে মনিরুলকে। ঘটনাটি ঘটেছে গতপরশু শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় চুয়াডাঙ্গা সদরের ডিঙ্গেদহ বাজারে। এ ব্যাপারে ডিঙ্গেদহ মানিকদিহির মৃত আজিবার রহমানের ছেলে মিনারুল হক অভিযোগ করেন গত ১৬জুন বেলা ১১টা ৪৫মিনিটের সময় উত্তরা পরিবহনে করে বাড়ি ফেরার জন্য টিকিট কাটে। পাশের সিটে বসে চুয়াডাঙ্গা সদরের সুবদিয়া গ্রামের দেলবারি হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন টিক্কা। সে আমাকে শশা খেতে বলেন। আমি না খেতে চাইলে বার বার অনুরোধের পর টিক্কার দেয়া শশা খেলে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আমার কাছে থাকা ১লাখ ৫২হাজার ৭শ’ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই দিন রাত ৮টায় ডিঙ্গেদহ বাজারে পৌঁছুলে গাড়ীর ড্রাইভার ও হেলপার অজ্ঞান অবস্থায় ডিঙ্গেদহ বাজারে নামিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন সংবাদ পেয়ে তৎক্ষণাত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। জ্ঞান ফিরে আসলে সকালে টিক্কার কাছে টাকা চাইলে টিক্কা টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং আমাকে হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে টিক্কার নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থাকায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর পর থেকে টিক্কা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতপরশু শনিবার আনুমানিক সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা চৌরাস্তার নিকট পৌঁছুলে টিক্কা ও টিক্কার ২ছেলে মনিরুল ও নাজমুলসহ আরও ২জন লোক কথা আছে বলে চুয়াডাঙ্গা দোপের বাজারে ব্রিজের নিচে নিয়ে যায় এবং সেখানে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয় এবং ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। আমি প্রাণের ভয়ে মামলা তুলে নেয়া ও চাঁদা দেয়ার কথা বলে চলে আসি। এরই প্রেক্ষিতে আমি গতপরশু শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ডিঙ্গেদহ বাজারে আব্দুলের ভাজার দোকানে বসে ছিলাম। এমন সময় টিক্কা, মনিরুল, নাজমুলসহ আরও ২জন ২টি মোটরসাইকেলযোগে এসে আমার নিকট মামলা তুলে নেয়া ও চাঁদার টাকা চাইলে আমি অস্বীকার করি। এ সময় আমার পকেটে থাকা ৩০হাজার টাকা ও গলায় থাকা ১ভরি ওজনের সোনার চেইন কেড়ে নিয়ে জামার কলার চেপে ধরে মারধর করে টেনে হেঁচড়ে মোটরসাইকেলে তোলার চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে বাজারে লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং মনিরুলকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে আমাকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টিক্কা ও তার ২ ছেলের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তবে এ বিষয়ে টিক্কার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।