দামুড়হুদা অফিস/প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের চৌধুরীপাড়ার মাদকব্যবসায়ী আমজাদ হত্যামামলার আসামিদের পরিবারের সদস্যরা তাদের নিকটজনদের নির্দোশ বলে দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছে। তারা বলেছে, মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নিরিহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়রামপুর নওদাপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে আমজাদ হত্যামামলায় অভিযুক্ত কাজলের মেয়ে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সুমি আক্তার পিয়া লিখিত বক্তব্যে জানায়, গত ১৮ এপ্রিল ১৪ দিনগত রাতে জয়রামপুর চৌধুরীপাড়ার মাদকব্যবসায়ী আমজাদকে কে বা কারা রাতের আঁধারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। এরপর নিহতের ছেলে শরিফুল বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় নওদাপাড়ার মাংস ব্যবসায়ী আলমগীর, সাইফুল, নাজমুল, কাজল ও এনামুলের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। বক্তেব্যে বলা হয়,আমজাদের স্ত্রী সুফিয়া এলাকার একজন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী। সুফিয়া ১৫ বছর আগে করিম নামের তার এক প্রতিবেশীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিলো। সে ইতঃপূর্বে কয়েকবার তার স্বামীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জখমও করে। সুফিয়ার মাদকব্যবসায় বাধা ও বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় স্বামী আমজাদের সাথে তার মোটেও বনিবনা ছিলোনা। সে এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের নামে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। নিহত আমজাদের মেয়ের সাধে মামলায় অভিযুক্ত আলমগীরের ভাই শামীমের বছর খানেক আগে বিয়ে হয়। কিন্তু অন্তরার স্বভাব চরিত্র ভালো না হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। ৭ মাস আগে অন্তরার সাথে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে বিয়ে বিচ্ছেদ মামলার নিস্পত্তি হয়। সেই থেকে নিহত আমজাদের স্ত্রী সুফিয়া তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো। পূর্ব শত্রুতার জের হিসেবে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বাদী তার মা সুফিয়া বেগমের প্ররোচণায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ওই ৫ জনকে আসামি করেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়,ষড়যন্ত্র মূলক ওই মামলায় যে ৫জনকে আসামি করা হয়েছে তারা সকলেই এলাকার নিরীহ প্রকৃতির। সুষ্টু তদন্তপূর্বক ঘটনার সাথে প্রকৃত জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক নিরীহ ওই ৫ জনকে আসামির তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের সদয় দৃষ্ঠি আকর্ষণ করে আসামিদের পরিবারের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মামলায় অভিযুক্ত কাজলের স্ত্রী রাহিমা, মা আছিয়া, আলমগীরের স্ত্রী ও সাইফুলের মা তাসলিমা, এনামুলের বাবা আয়ুব আলী ও নাজমুলের মা আম্বিয়া খাতুন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রতিবেশী দলিল লেখক ইউনুস আলী, আমবাগান ব্যবসায়ী ওমর ফারুক, চাষি ইবাদুল, স্বর্ণকার আত্তাপ আলী, কাঁচামাল ব্যবসায়ী সৈয়দ আলীসহ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।