মাথায় পিস্তল ধরে নার্সারি মালিক নজরুলকে অপহরণ

চুয়াডাঙ্গা ছাগল ফার্মের কাছে গাছের চারা কেনার কথা বলে নার্সারিতে হানা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় এক নার্সারি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। নার্সারিতে মাইক্রোবাস ভিড়িয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ৬জন অস্ত্রধারী এসে গাছের চারা কেনার নামে নার্সারি মালিককে ডেকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় বলে পরিবারের অভিযোগ। অপহৃত নার্সারি ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ইসলামপাড়ার মৃত ইসাহক আলীর ছেলে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার ছাগল উন্নয়ন খামারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় নজরুল ইসলামের সোহাগ নার্সারি। ওই নার্সারিতে গতকাল বুধবার দুপুরে অবস্থান করছিলেন নজরুল ইসলামের ছেলে সোহাগ হোসেন। গতকাল বধুবার বেলা ১টার দিকে একটি সাদা মাইক্রোবাস নিয়ে নার্সারিতে আসেন ৬জন। তারা গাছের চারা কেনার কথা বলে ছেলে সোহাগকে দিয়ে নজরুল ইসলামকে মোবাইলফোনে ডাকান। নজরুল আসার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় পিস্তল ধরে তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। এ সময় তাদের পরিচয় জানতে চাওয়ায় নজরুলের ছেলে সোহাগ, জামাই শাহজালাল ও পাশের দোকানী সাব্বিরকে গালাগালি করে ও চড়-থাপ্পড় মারে তারা। নার্সারি মালিক নজরুল ইসলামের ছেলে সোহেল জানায়, ‘সকাল থেকেই একটি মাইক্রোবাস ফার্স্টক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির সামনে অবস্থান করছিলো। সম্ভবত আমার আব্বা নার্সারিতে না থাকার কারণে তারা দূরে ওঁত পেতে ছিলো। গতকাল বুধবার বেলা ১টার দিকে তারা মাইক্রোবাস নিয়ে নার্সারিতে আসে। গাছের চারা কেনার নাম করে আমার ভাই সোহাগকে দিয়ে আব্বাকে মোবাইলফোনে ডাকায় তারা।’ সোহেল ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আরও বলেছে, ‘গাছের চারা বিক্রির টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে কালোপোল গ্রামের মফিজ প্রফেসার নামে একজনের সাথে আমাদের এক সময় ঝামেলা হয়। তারই ইন্ধনে এটা হয়েছে। আমাদের ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনই আমার পিতাকে তুলে নিয়ে গেছে।’ তিনি আরও বলেন ‘আমার পিতাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে র‌্যাবের গাড়ি আসে। তাদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মৌখিক অভিযোগ করা হয়।’ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, ‘পুলিশ নার্সারি মালিক নজরুলকে আটক করেনি। তবে ওই নামে একজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছি। থানায় লিখিতভাবে জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’