মাঝ রাতে হাসপাতাল পরিষ্কার করার কাজে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার: কে বলেছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পরিছন্ন কর্মীর অভাব? গতরাত ১২টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী ও হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাজিবুল ইসলামের সরাসরি তত্ত্বাবধানে হাসপাতাল পরিষ্কার পরিছন্ন কাজে নিয়োজিত ছিলেন অর্ধশত যুবক। এদের সিংহভাগই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মাঝে মাঝেই ভয়াবহ দুগন্ধ ছড়ায়। অপরিষ্কারের কারণেই দুর্গন্ধ বিকট রূপ নেয়। পরিবেশ দুষিত করে তোলে। এ হাসপাতালের আবাসিম মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডা. রাজিবুল ইসলাম দায়িত্বগ্রহণের পর পরিবেশ বদলানোর প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে। আরএমও রাজিবুল ইসলাম প্রতি শুক্রবার রাত ১২টায় নিজে উপস্থিত থেকে হাসপাতালের পরিষ্কার পরিছন্ন কাজের তদারক করেন। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী হাসপাতালে রোগী দেখতে গেলে অপরিষ্কারের চিত্র চোখে পড়ে। তিনি আরএমও’র সাথে হাসপাতালের পরিষ্কার পরিছন্নতার বিষয়ে আলোচনা করলে আরএমও হাসপাতালে পরিছন্ন কর্মী সঙ্কটের বিষয়টি জানিয়ে বলেন, মাত্র একজন সরকারি বেতনভুক্ত সুইপার রয়েছে। এছাড়া পৌরসভা থেকে মাঝে মাঝে ৫ জন পরিছন্নকর্মী কাজ দেয়া হয়। এতে হাসপাতাল পরিপূর্ণভাবে পরিষ্কার রাখা সম্ভব হয় না। এরপরও আমরা প্রতি শুক্রবার রাত ১২টায় পরিষ্কারের বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে তার করে আসছি। এ কথা শুনে পৌর মেয়র জানান, পরিষ্কার দিবসের আগেই আমিসহ আমার অনুসারী নিয়ে হাসপাতাল পরিষ্কারের কাজে যোগদেবো। সেই প্রতিশ্রুতিরই অংশ হিসেবে গতরাত ১২টার দিকে অর্ধশত অনুসারী নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন মেয়র। পরিষ্কার পরিছন্ন কাজে তদারক করেন তিনি। সাথে ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফ হোসেন দুদু, যুবলীগের আবুল হোসেন মিলন, আব্দুর রাজ্জাক, রাকিবুল হাসান রাকুসহ অনেকে।