মহেশপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে স্ট্যান্ড রিলিজ

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতউর রহমাকে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে এক বার্তায় তাকে হবিগঞ্জ জেলায় যোগদান করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি এ বিষয়ে খবর পেয়ে ঢাকায় চলে এসেছি।

একটি গোপন সূত্র থেকে জানা গেছে, একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বদলি করা হয়েছে। আতাউর রহমান ৩ বছরের অধিক সময় মহেশপুর উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে নানা রকমের অভিযোগ রয়েছে। তিনি টাকা ছাড়া কোনো ফাইল স্বাক্ষর করেন না। তিনি নারী শিক্ষিকদের নানা ধরনের হয়রানি করে থাকেন। এ বছর যাদেরকে পিটিআইতে পাঠিয়েছে তাদের ৪০ জনের কাছ থেকে ৫-৭ হাজার করে টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। গত ৩ বছর যাদেরকে বদলি করেছে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। মহেশপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসটি ঘুষ, দুর্নীতির মহা-স্বর্গরাজ্য গড়ে উঠেছিলো। তাকে সহযোগিতা করেছে মহেশপুর ও ঝিনাইদহ ডিডি অফিসের অফিস সহকারীদ্বয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন নারী শিক্ষিক বলেন, তাদের কাছে ওই শিক্ষা অফিসার অনেক রাতে মোবাইল করেন এবং বিভিন্ন ধরনের আজে বাজে কথাবার্তা বলে। আতাউর রহমান এখন কালো টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তিনি যশোর শহরে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় করে দ্বি-তলা বিশিষ্ট বিলাশ বহুল আলিশান বাড়ি তৈরি করেছেন। মহেশপুর শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে একাধিকবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে যা তদন্তে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিষ্পত্তি করে নিয়েছে। তার বদলিতে শিক্ষকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এসব অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অস্বীকার করেন।