মহেশপুর থানার এসআইসহ চার পুলিশ কনস্টেবল ক্লোজড

মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার এসআই নাজমুল হকসহ চার পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে। প্রশাসনিক কারণে তাদের ক্লোজ করার কথা বলা হচ্ছে। তবে কি অপরাধে তাদের ক্লোজ করা হয়েছে তার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা মুখ খুলছেন না। তবে গুজব ছড়িয়েছে বড় ধরনের সোনা কেলেংকারির ঘটনার সাথে ক্লোজকৃত পুলিশ সদস্যরা জড়িত থাকতে পারে। ক্লোজ হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন, কনস্টেবল মনিরুজ্জামান, এইচএম এরশাদ ও ওলিয়ার রহমান। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মহেশপুরের পুরোন্দরপুর নামকস্থানে সোনারতরী পরিবহনে অভিযান চালিয়ে পুলিশ পরিচয়ে কতিপয় ব্যক্তি ৬৫ পিস সোনার বার উদ্ধার করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। ঘটনা সামনে রেখে মহেশপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে নিবিড় অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। ডাকাতির এ মামলাটি তদন্ত করছে মহেশপুর থানার এসআই আনিসুর রহমান। তবে পুলিশের কোনো সূত্র সোনার বার উদ্ধারের এ তথ্য স্বীকার করেনি। এদিকে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার দিন সোনারতরী বাসে অভিযান চালানো হাইওয়ে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের শনাক্ত করা হয়। এরপর জেলা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে। অসমর্থিত সূত্র মতে কোটচাঁদপুরের এক চোরাচালান সিন্ডিকেটের গডফাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েই গতকাল সোমবার সকালে মহেশপুর থানার এসআই নাজমুল হকসহ চার পুলিশকে ক্লোজ করা হয়। তবে সোনার বার উদ্ধার ও আত্মসাতের বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো গোপন রাখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে সোনা উদ্ধারের মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ক্লোজ হওয়া পুলিশের এসআই নাজমুল হক বলেন, আমি ঘটনার দিন রাতে হাইওয়ে ডিউটিতে ছিলাম। গতকাল সোমবার সকালে শুনি আমিসহ চার পুলিশ ক্লোজ হয়েছি। তিনি বলেন কি ঘটনা ঘটেছে আমি কিছুই জানি না। কি কারণে আমিসহ চার পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে তাও জানি না। বিষয়টি নিয়ে মহেশপুর থানার ওসি আহম্মেদ কবির জানান, প্রশাসনিক কারণে তাদের গতকাল সোমবার সকালে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের কি কারণে ক্লোজ করা হয়েছে তা আমি জানি না। তবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ মিডিয়াকে জানান, সোনা উদ্ধার নয়, প্রশাসনিক কারণে এসআই নাজমুল হকসহ চার পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কি ধরনের গাফিলতি ও প্রশাসনিক ফল্ট তা পরিষ্কার করে বলতে রাজি হননি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।