মর্গে জায়গা নেই :তাই শিশুর দেহ ফ্রিজারে

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: মর্গেজায়গা নেই৷ তাই সদ্য মৃত ৩৪ মাস বয়সি ছোট্ট শিশুর দেহ রাখা হল ফ্রিজারে, যেখানে এক সময় রাখা হতো আইসক্রিম। ইসরাইলের হামলার কারণে বর্তমানে গাজারচিত্র এমনই। এদিকে গাজার দেইর আল বালাহ নামক এক শহরে হামলায় ২৩ বছর বয়সী একমহিলার মৃত্যুর পর তার গর্ভ থেকে জন্ম নিলো এক কন্যাশিশু। মায়ের মৃত্যুর পরগর্ভের সন্তান বেঁচে থাকার ঘটনাকে চিকিৎসকরাও বলছেন ‘অলৌকিক৷ বেড়েচলেছে মৃত্যুমিছিল। মৃতদেহ রাখার জন্য জায়গা কম পড়ছে মর্গগুলোতে। গত সোমবারইজরায়েলি হানায় আহত হয় তিন বছরের একটু কম রাঘাদ মাসুদ। রাফা রিফিউজিক্যাম্পে কোওয়াতি হাসপাতালের ডাক্তারেরা তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন।তবে তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মৃত্যু হয় রাঘাদের।গত শুক্রবার, রাষ্ট্রপুঞ্জ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ৭২ ঘণ্টার জন্য গাজায়যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করে। কিন্তু যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার দু’ঘণ্টার মধ্যেসংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ইজরায়েল ও হামাস- দু’পক্ষই যুদ্ধবিরতি ভাঙার জন্য একেঅপরকে দায়ী করে।এদিকে  ইসরাইলের বর্বরচিত হামলায় গাজার দেইর আলবালাহ নামক এক শহরে নিরাপদ ভেবে একটি পরিবারের সদস্যরা ছোট একটি বাড়িতেআশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরাইলের বিমান বাহিনীর ছোড়া একটিক্ষেপণাস্ত্র এসে বাড়িটি মুহূর্তের মধ্যে ধুলিস্মাৎ করে দেয়। হামলার পরধ্বংসস্ত্তপের মধ্যেই ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। এরপর তাকে উদ্ধার করেহাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাচ্চাটিকে মৃত মায়েরগর্ভ থেকে বের করা হয়।

একজন ফিলিস্তিনি ডাক্তার বলেন, এমন দৃশ্য দেখাসত্যিই বেদনার। একজন মায়ের সাথে শেষ হয়ে যাচ্ছিলো তার ভেতরে তিল তিল করেবেড়ে ওঠা আরেক স্বত্ত্বা৷ ঘটনার তিন ঘন্টার মধ্যে মৃত মায়ের গর্ভ থেকেবাচ্চাটিকে বের করা হয়। মায়ের মৃত্যুর সাথে সাথেই শিশুটির জীবন সংকটজনকহয়ে পড়ে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তারা এখন তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে বলেজানিয়েছেন ডাক্তারেরা৷ যেখানে ইসরায়েলিরা একের পর এক শিশু হত্যা করেচলেছে, সেখানে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়তো যুদ্ধ সমাপ্তির কথা বলতে চাইছে।