মরদেহের পাশে পড়ে থাকা মোবাইলফোনের সিমের বদৌলতে মিললো পরিচয়

ভেড়ামারার রেললাইনের পাশের ঝুঁপড়ি থেকে লাশ উদ্ধার : কুষ্টিয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়ায় দাফন

আলুকদিয়া/কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মরদেহের পাশে খুনিরা মোবাইলফোনের সিমটি ফেলে রেখে না গেলে হয়তো অজ্ঞাতনামা বেওয়ারিশই থেকে যেতো চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়া বাজারপাড়ার মিনহাজ উদ্দীনের লাশ। গতকাল শনিবার সকালে কুষ্টিয়া ভেড়ামারার বাকাপোল নামক স্থানে রেললাইনের পাশে ঝুঁপড়ির মধ্যে পড়ে ছিলো তার মরদেহ। পাশে পড়ে থাকা মোবাইলফোনের সিম কুড়িয়ে নিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি রিং করতেই ধরেন মিনহাজের স্ত্রী। মৃতদেহের পরিচয় মেলে।
লাশ উদ্ধারের পর ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জের মন্তব্য, মিনহাজকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। রেলওয়ে পুলিশের মন্তব্য, অন্য কোথাও মাথায় অঘাত করে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের পর লাশ রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে মিনহাজের স্ত্রী বলেছেন, মিনহাজ উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে দরিয়ারপুরে কোরবানের আলুকদিয়াস্থ ভুষিমালের আড়তের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। টাকা আদায়সহ ব্যবসায়ী বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন স্থানে পাঠাতেন। ভেড়ামাড়াতে মিনহাজ উদ্দীন কেন গিয়েছিলো তা আড়তের মালিক কোরবানই বলতে পারবেন। কেননা, গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে যখন বাড়ি থেকে বের হন তিনি, তখন আলুকদিয়া বাজারের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। আড়তদার কোরবান অবশ্য মিনহাজ উদ্দীনের ভেড়ামারায় যাওয়ার বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। ফলে হত্যার নেপথ্য নিয়ে রহস্য দানা বেধে উঠেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া ই্উনিয়নের আলুকদিয়া বাজারপাড়ার আব্দুল কারীর ছেলে মিনহাজ উদ্দীন (৫০) এক ছেলে এক মেয়ের সন্তান। তার স্ত্রী …… বলেছেন, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে আলুকদিয়া বাজারের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফেরেননি। শনিবার সকাল ৮টার দিকে তারই মোবাইলফোন নম্বর দিয়ে অন্যজন ফোন করেন। তিনিই দেন লাশের খবর। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। গতকালই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষ করে মৃতদেহ বাড়ির উদ্দেশে নেয়া হয়। রাত ৮টার দিকে লাশবাহী গাড়ি বাড়ি পৌঁছুলে নিকটজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। গতরাতেই দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা হত্যাকা- আড়াল করতেই মৃতদেহ রেললাইনের পাশের ঝুঁপড়িতে ফেলে রাখা হয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া মৃতদেহের শরীরের কোথও তেমন আঘাতের দাগ না থলেও মাথায় গুরুতর আঘাতসহ ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে।