মমতা-আবিদার ৩৫ মিনিট

মমতা-আবিদার ৩৫ মিনিট

স্টাফ রিপোর্টার: সারদা চিট ফান্ড সংস্থার অর্থ বাংলাদেশের মৌলবাদীদের কাছে পাঠানো এবং এই কাজে তৃণমূল কংগ্রেসের এক রাজ্যসভা সংসদ সদস্যের নাম নিয়ে মিডিয়ায় জোর আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার আবিদা ইসলামের বৈঠককে ঘিরে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছিলো। গতকাল সোমবার বিকেল ঠিক ৪টায় আবিদা ইসলাম রাজ্য সচিবালয় নবান্নের চৌদ্দতলায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য উপহার হিসেবে নিয়ে গিয়েছিলেন একটি শাড়ি, একটি উত্তরীয় ও ব্যক্তিগত সামগ্রী। মমতাও উপ-হাইকমিশনারকে একটি শাড়ি উপহার দিয়েছেন। এই বৈঠক প্রায় ৩৫ মিনিট স্থায়ী হয়েছিলো।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দু দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে, বিশেষ করে তিস্তা এবং ছিটমহল বিনিময় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সীমান্ত চুক্তির প্রশ্নে মমতা সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে  জানা গেছে। এই আলোচনার মধ্যেই উঠে এসেছিলো সারদা প্রসঙ্গও। উপ-হাইকমিশনার মমতাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে এদিনের বৈঠকে কি কথা হয়েছে এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনো পক্ষই মুখ খোলেননি। বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা না বলেই বৈঠকের শেষে নবান্ন ছেড়ে চলে যান। মিডিয়ার একাংশ একে তলব বলে আখ্যায়িত করলেও বাংলাদেশ উপ-হাইকশিন থেকে জানানো হয়েছে, তলবের কোনো প্রশ্নই নেই। বরং উপ-হাইকমিশনার কোলকাতায় দায়িত্ব থেকে চলে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রার্থনা করেছিলেন। অবশ্য গত দু বছরে একাধিকবার সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েও আবিদা ইসলাম ব্যর্থ হয়েছেন।

তৃণমূল সূত্রের মতে, তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তির প্রশ্নে বিরোধী মনোভাবের কারণেই তিনি বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে এবার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি বাংলাদেশ সরকার সম্পর্কে তার মনোভাব যেমন স্পষ্ট করতে এবং বাংলাদেশের মনোভাব জানার ব্যাপারে আগ্রহী হয়েই বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারকে সময় দিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।