মধ্যবয়সীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে ৪ জনের একদল যুবক

চুয়াডাঙ্গা গাড়াবাড়িয়ায় দেনা-পাওনা নিয়ে দোকানি-দেনদারের দুদিন ধরে দফায় দফায় বাগবিতণ্ডা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের গাড়াবাড়িয়া ছাগলাপাড়ার মধ্যবয়সী আসলাম উদ্দীন মুহিতকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে ৪ জনের একদল যুবক। গতরাত ৮টার দিকে মুহিতের ভাই মুদি দোকানি শহিদ উদ্দীনের দোকানের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হতে পারে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে স্থানীয়রা বলেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের গাড়াবাড়িয়া ছাগলাপাড়ার মৃত ইছাহক ম-লের ছেলে শহীদ উদ্দীনের মুদি দোকান রয়েছে একই মহল্লায়। পাওনা টাকা নিয়ে দোকানির সাথে পরশু গ্রামেরই মৃত আক্কাস আলীর ছেলে জাফরের বাগবিতণ্ডা হয়। জাফরের দাবি যতো টাকা পাওনা নেই, তার চেয়ে বেশি দাবি করে হালখাতার চিঠি দেয়া হয়েছে। দোকানি শহীদ উদ্দীনের দাবি, যা পাওনা তাই-ই লিখে চিঠি দেয়া হয়েছে। পরশু বাগবিতণ্ডার মধ্যে সীমিত থাকলেও গতকাল হালখাতার দিন সন্ধ্যার পর দেনদার জাফর (২৭) দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দোকানিকে উত্যক্ত করতে থাকে। গালিগালাজও দেয়। অভিযোগ, জাফর মদপান করে এসে দোকানের সামনে মাতলামি করতে শুরু করে। বিষয়টি দেখে দোকানি শহিদ উদ্দীনের ভাই আসলাম উদ্দিন মুহিত (৫৫) এগিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ করেন। বলেন, ‘হালখাতার দিন দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে মাতলামি করছো কেনো? টাকা না দিলে না দাও বাড়ি যাও।’ জাফর বাড়ি ফেরে। রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তার ভাই জাকির, সহযোগি সোহাগ ও পিয়াস দোকানের সামনে পৌছে আবারও দোকানির সাথে বাগবিতণ্ডায় মেতে ওঠে। দোকানিসহ দোকানে বসে থাকা লোকজন এ তথ্য দিয়ে অভিযোগ তুলে বলেছে, দোকানিকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করার আবারও প্রতিবাদ করেন মুহিত। প্রতিবাদ করতে না করতেই জাফরসহ তার সহযোগিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। প্রথমে ডান হাত ক্ষতবিক্ষত হয়। একটু ঘুরতেই ঘাড়ে কোপ মারা হয়। ঘাড়ে কোপে আসলাম উদ্দিন মুহিত উল্টে পড়লে পিঠে একের পর এক কোপ মেরে ক্ষতবিক্ষত করে হামলাকারী জাফরসহ তার সহযোগিরা সরে পড়ে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে মুহিতকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। অসংখ্য সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিটি কোপই খুব গভির। ফলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরমর্শ দেয়া হতে পারে। তার আগে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মুহিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠার কারণে জরুরী ভিত্তিতে রক্ত দেয়ার জন্য বলেন চিকিৎসক। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রক্ত দেয়ার তোড়জোড় চলছিলো। মুহিত একজন কৃষক।