ভ্যাপসা গরমের পর চুয়াডাঙ্গায় ঝড়-বৃষ্টি : বিদ্যুত বিপর্যয়

 

খাইরুজ্জামান সেতু: সারাদিনের ভ্যাপসা গরম শেষে সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ খুলনা বিভাগের কয়েকটি স্থানে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। ঝড় বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গার বেশ কয়েকটি স্থানে গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দেয়। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে পর্যায়ক্রমে মেরামত শেষে বিদ্যুত সরবরাহ শুরু হলেও গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কিছু এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ ছিলো।

গতরাত পৌনে ৮টার দিকে শুরু হয় ঝড়। চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঝড়ে ধুলো উড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ঝড়ের এক পর্যায়ে ৮টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। আধা ঘণ্টা ধরে চুয়াডাঙ্গায় ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। বজ্রবৃষ্টির পর স্বস্তি নামে। গতকাল সারাদিন মেঘ-রোদের লুকোচুরি থাকলেও অসহনীয় গরমে হাঁসফাঁস করতে হয়েছে সকলকে। ভূপরিমণ্ডলের বাতাসে বাষ্পের উপস্থিতির কারণে ঘামতে হয়েছে দেদারছে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৫ ও সর্বনিম্ন ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৭ দশমিক ৬ ও সর্বনিম্ন রংপুরে ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়াবিদেরা মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, মরসুমি বায়ু তথা বর্ষা আসতে এখনো সপ্তা দুয়েক বাকি। বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ-পশ্চিম মরসুমি বায়ু ইয়াঙ্গুন উপকূল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়াগায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। রাজশাহী অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে রাতে স্বস্তি নামলেও সোমবার দুপুরের পর থেকে অস্বস্তির মাত্রা বহুলাংশে বাড়তে পারে। কারণ খরতাপে মাটির পানি বাষ্পে রূপ নিলে বাতাসে ঘনত্ব বেড়ে অস্বস্তির মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

এদিকে ঝড় বৃষ্টিতে চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দেয়। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার ফিডারে রাত ৯টা ৩২ মিনিটে, মেহেরপুর ফিডারে রাত ১১টায়, হাসপাতাল ফিডারে রাত ১০টা ১৫ মিনিটে, হাজরাহাটি ফিডারে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ও বিজিবি ফিডারের অংশ বিশেষ রাত ১২টা ৭ মিনিটে বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়। বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছের ডাল পড়ার কারণে বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দেয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।