ভোট দিতে পারলেন না প্রার্থী

স্টাফ রিপোর্টার: কাউন্সিলর প্রার্থী নিজেই এসে দেখেন তার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। ঘটনাটি সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের। প্রার্থীর নাম আবু জুবায়ের মো. মেহেরুতিল্লা। ভোটাররা জানান, সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পরপরই ওই কেন্দ্র থেকে বিরোধী প্রার্থীদের সব এজেন্ট বের করে দেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন। দক্ষিণ সিটি মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন ও কাউন্সিলর প্রার্থী মুন্সী কামরুজ্জামান কাজলের সমর্থকরা যৌথভাবে ওই কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেন। গেট থেকে শুরু করে বুথের ভেতর পর্যন্ত কয়েক স্তরে ছিল ইলিশ মাছ ও ঘুড়ি প্রতীকের সমর্থকদের অবস্থান। দুটি প্রতীক দিয়ে ছাপানো কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সামনে প্রকাশ্যেই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ভোট শুরুর আগে গেটে জটলা করে দাঁড়িয়ে থাকা সরকার সমর্থকদের বাধার মুখে পড়েন কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ জাকির হোসেনের (ঠেলাগাড়ি) নারী এজেন্টরা। তাদের কেন্দ্রে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। শিবির বলে তাদের গেট থেকে তাড়িয়ে দেন ইলিশ মাছ ও ঘুড়ির ব্যাজ পরিহিত রুবেল রহমান রাতুল নামের এক যুবক। এ সময় গোলে হেনা লাকী নামের এক নারী এজেন্ট তাদের ‘শিবির বলায়’ তীব্র প্রতিবাদ করেন। বারবার তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ করে বলেন, আমি এ এলাকার মেয়ে। এখানেই বড় হয়েছি। অনেকে আমাকে চিনেন। আমি এ স্কুলেই পড়েছি। সিদ্ধেশ্বরী কলেজের ছাত্রী ছিলাম। আমি এজেন্ট। শিবির হতে যাবো কেন? একপর্যায়ে প্রতিবাদী ওই নারী গেটে অবস্থান নেন। তাকে ঘিরে সাংবাদিকদের ভিড় বাড়তে থাকায় দ্বিতীয় দফায় তিনি সরকার সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন।