ভুয়া ডিগ্রিধারী ডাক্তারের ৬ মাসের কারাদ- ॥ ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকের অর্থদ-

চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া পদবি ব্যবহার করে রোগীদের সাথে প্রতারণা ॥ এনএসআই ও সদর থানা পুলিশের অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া সহকারী অধ্যাপক পদবি ব্যবহারের অপরাধে এক চিকিৎসক ও আশ্রয়দাতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে দ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার এই আদেশ দেন। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালিত হয়।
দ-িতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের বাসিন্দা মৃত শামসুল হকের ছেলে চিকিৎসক এমএস আলম ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল গেট সংলগ্ন নিউ জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের ক্বারী আজিজুল হকের ছেলে তৌহিদ হোসেন তোতা। এর মধ্যে চিকিৎসক এমএস আলমকে ৬ মাসের কারাদ- ও তৌহিদ হোসেন তোতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদ-াদেশ দেন। দ-াদেশের পর এমএস আলমকে সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয় এবং তৌহিদ হোসেন তোতা জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মুক্ত হন।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমএস আলম এমবিবিএস পাস করেছেন। কিন্তু তিনি নামের সাথে পদবি হিসেবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক, এমএস (নিউরো সার্জারি), এমআরসিএস (ইউকে) ও এফসিপিএস (সার্জারি) ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাকে আশ্রয় দিয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক আবু জাফর ইকবাল জানান, বিগত ৬ মাস ধরে নিউ জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে ৫শ টাকা ফিস নিয়ে রোগী দেখার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন ডা. এমএস আলম। নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় সেখানে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৫টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এর আগেও কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতে একই ধরনের প্রতারণা করে এসেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাপিয়া আক্তার জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০’র ২৯ ধারায় চিকিৎসক এমএস আলমকে এবং ভোক্তা অধিকার আইনের ২০০৯’র ৫৩ ধারায় তৌহিদ হোসেন তোতাকে দ- দেয়া হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চুয়াডাঙ্গা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল লতিফ বলেন, চুয়াডাঙ্গায় যেসব বাইরের চিকিৎসক সেবার জন্য আসেন, শিগগিরই তাদের কাছ থেকে ছবিসহ পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা বেগমকে মোবাইলফোনে পাওয়া যায়নি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের কারাধ্যক্ষ ইমরান আহমেদ বলেন, আসামি এমএস আলমকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই কারাগারে নেয়া হয়েছে।