ভুট্টার দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা ভুট্টাচাষিরা

ইলিয়াস হোসেন: ভুট্টার দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এলাকার ভুট্টাচাষিরা। ধানের লাভজনক মূল্য না থাকায় কৃষকদের কয়েক বছর ধরে লোকসান হওয়ায় ধানচাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ভুট্টাচাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা।

কৃষকরা জানায়, গত বছর এ সময় পুরোনো ভুট্টার দাম ছিলো ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা এবং নতুন ভুট্টার দাম ছিলো ৯শ থেকে ৯৫০ টাকা। কিন্তু হঠাৎ করে দাম কমে পুরোনো ভুট্টার দাম ৭৫০ টাকা থেকে ৮শ টাকা এবং নতুন ভুট্টার দাম ৬শ টাকায় বিক্রি হওয়ায় ভরা মরসুমে ভুট্টার লাভজনক মূল্য না পাওয়ার আশঙ্কায় কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ডিঙ্গেদহ বাজারের ব্যবসায়ী হাজি আকবার আলী মালিথার নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বছর ভারত থেকে এলসিতে প্রচুর ভুট্টা আমদানিতে মিল মালিকরা এলসির ভুট্টা কিনছেন। তিনি আরও বলেন, গত বছর আমরা কৃষকদের নিকট থেকে ভরা মরসুমে ৮শ টাকা থেকে ৮৬০ টাকা দামে ভুট্টা কিনে গোডাউন জাত করেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে ভুট্টার দাম কমে যাওয়ায় মনপ্রতি ভুট্টায় লোকসান হচ্ছে প্রায় ২শ টাকা। তাছাড়া ব্যাংকের সিসি লোনের সুদ তো আছেই। এ অবস্থায় পুরাতন ভুট্টা গোডাউনজাত করে রাখতে হচ্ছে। পুরাতন ভুট্টা বিক্রি না হলে আমরা নতুন করে ভুট্টা কিনবো কি করে। এ অবস্থায় ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে ভুট্টা আনা বন্ধ করলে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ভুট্টার লাভজনক মূল্য পাবে।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি জনমূল্য কমিশনের সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বলেন, দেশে প্রতিটি পেশার মানুষের সংগঠন থাকায় তারা তাদের দাবি নিয়ে সোচ্চার হতে পারে, কিন্ত কৃষকদের কোনো সংগঠন না থাকায় এবং বিশেষ করে কৃষকেরা সংগঠিত হতে না পারায় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কোনো পণ্যের লাভজনক মূল্য পায় না। এজন্য তিনি সরকারের প্রতি জাতীয় মূল্য কমিশন গঠনের দাবি জানান। এছাড়াও এলাকার কৃষক ও সচেতনমহল অবিলম্বে ভারত থেকে ভুট্টার এলসি বন্ধ করে কৃষকদের নিকট থেখে লাভজনক মূল্যে ভুট্টা কেনার দাবি জানান।