ভারতীয়দের হামলায় মুজিবনগরের এক গরুর রাখাল নিহত : দুজন আটক

 

মুজিবনগর প্রতিনিধি: ভারতের সুটিয়া গ্রামবাসীর হামলায় নিহত হয়েছেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের বদর উদ্দীন (২৮)। গত শনিবার রাতে সোনাপুর সীমান্তের বিপরীতে ভারতের সুটিয়া গ্রামে গরু আনতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটক হয়েছেন বদর উদ্দীনের ভাই আব্দুল কুদ্দুস ও মেহেরপুর শহরের বিপ্লব হোসেন। তারা তিনজন আনন্দবাস গ্রামের গরু ব্যবসায়ী সাহাব উদ্দীনের গরুর রাখাল হিসেবে কাজ করতেন। মরদেহ ফিরিয়ে আনতে গতকাল সোমবার বিকেলে মুজিবনগর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক এবং দু দেশের পুলিশ সুপার পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। বদর উদ্দীন সোনাপুর গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে।

নিহত বদর উদ্দীনের মা আছিয়া খাতুন জানান, তার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৩০) ও বদর উদ্দীন (২৮) এবং মেহেরপুর শহরের বিপ্লব হোসেন শনিবার দিনগত রাতে সীমান্তের ১০৫-১০৬ নং মেন পিলার এলাকার বিপরীতে ভারতে সুটিয়া গ্রামে সাহাব উদ্দীনের গরু আনতে যায়। ব্যবসার পূর্ব বিরোধ কেন্দ্র করে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা তাদের আটকে বেধড়ক মারপিট করে। গত রোববার সকালে ভারতের চাপড়া থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তিনজকে কুষ্ণনগরের শান্তিনগর সরকারি হাসপতালের উদ্দেশে নেয়ার পথে বদর উদ্দীনের মৃত্যু হয়। অপর দুজন পুলিশ প্রহরায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে বিজিবি ও মেহেরপুর পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়। গতকাল বিকেলে মুজিবনগর সীমান্তের ১০৫ নং মেন পিলার এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিজিবির পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান ও বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন ১১৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক মালকিত সিংক। বিজিবি অধিনায়ক এসএম মনিরুজ্জামান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে বিএসএফ’র আওতার বাইরে। তবে বদরের মৃত্যুর বিষয়টি বিজিবিকে নিশ্চিত করেছে বিএসএফ। মেহেরপুর ও নদীয়া জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে মরদেহ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।

এ প্রসঙ্গে মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, গতকাল সোমবার বিকেলে নদীয়া জেলার পুলিশ সুপারের সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন বদরের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দিনের যেকোনো এক সময় নদীয়া জেলা পুলিশ-বিএসএফ-বিজিবির মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করবে বলে আশা করছেন তিনি।