ভাঙ্গায় কাজী জাফরউল্লাহর সভায় গুলি

স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি কাজী জাফরউলাহর পথসভায় গুলির ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে ভাঙ্গা থানার ওসিসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আহতরা হলেন- ভাঙ্গা থানার ওসি নাজমুল ইসলাম, কাউলিবেড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পরারম গ্রামের জাহের মাতুব্বরের ছেলে ফরহাদ মাতুব্বর, আজিমনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তারাইল গ্রামের হাজি ফরমান খানের ছেলে সোবাহান খান, সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা চরেরঘাট গ্রামের মৃত আহম্মদ আকনের ছেলে ইমারত আকন, আড়িয়াল খাঁ গ্রামের আলিমদ্দিনের ছেলে সাহেব আলী মেম্বার, কাউলিবেড়া ইউপি মেম্বার ও খাটকড়া গ্রামের মৃত শেখ ওসমান মিয়ার ছেলে শাজাহান মিয়া এবং পরারম গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে জমির মাতুব্বর। আহতদের প্রায় সবার পা ও বুকে জখম হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ী কুমপাড়া এলাকায় পথসভা করেন কাজী জাফরউল্লাহ। এ উপলক্ষে কয়েকশ নেতাকর্মী পথসভাস্থলে উপস্থিত হন। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, পথসভায় কাজী জাফরউল্লাহ ভাষণ শুরু করার কয়েক মিনিট পরই মঞ্চের একপ্রান্ত থেকে অতর্কিত গুলির শব্দ শোনা যায়। মঞ্চের এক প্রান্তে অবস্থান করা ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দীপক মজুমদারের ব্যবহৃত শটগান থেকে অসাবধানতাবশত গুলিবর্ষণ হয়। এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হুড়াহুড়ি শুরু করেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তিনি জানান, এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা দীপক মজুমদারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার মোবাইলফোন বন্ধ রয়েছে। তবে ঘটনাটি কি পরিকল্পিত নাকি অসাবধানতাবশত গুলি বের হয়েছে এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, শটগানের ছররা গুলিতে আহতদের শরীরে একাধিক স্পি¬ন্টার ঢুকে রয়েছে।