ব্রেক্সিট ইস্যুতে ছায়া মন্ত্রী থেকে টিউলিপের পদত্যাগ

 

মাখথাভাঙ্গা মনিরটর: ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া ত্বরাণ্বিত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের আনা একটি বিলে সমর্থনের দলীয় সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে লেবার পার্টির ছায়া সরকারের দায়িত্ব ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক। লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন এলাকার এই এমপি বৃহস্পতিবার লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠান বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ছায়া সরকারে ‘শ্যাডো মিনিস্টার ফর আর্লি ইয়ার্স এডুকেশন’ হিসেবে শিশু কল্যাণ ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করছিলেন তিনি। যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) প্রক্রিয়া শুরু করার আগে সরকারকে অবশ্যই পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হবে বলে সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দেয়ার পর পার্লামেন্টে একটি বিল তোলা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (নোটিফিকেশন অফ উইথড্রয়াল) বিলে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নেন লেবার নেতা করবিন।

তিনি বলেন, বিলটির সমর্থনে ভোট দিতে ‘থ্রি-লাইন হুইপের’ মুখোমুখি হবেন লেবার এমপিরা। তার এ ঘোষণার পর টিউলিপ পদত্যাপত্র জমা দেন। তাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট বলেছে, “আমি সব সময় পরিষ্কার-হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নে আমি ওয়েস্টমিনস্টারের প্রতিনিধিত্ব করি না, আমি ওয়েস্টমিনস্টারে হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের প্রতিনিধিত্ব করি। “…পেছনের কাতারে থেকে টেরিজা মে’র ত্বরিত ব্রেক্সিটের বিরোধিতা করাই আমার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বলে আমি মনে করি।” গত বছর জুনে ঐতিহাসিক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয় যুক্তরাজ্যের জনগণ। গণভোটে অপ্রত্যাশিত ওই ফলের পর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে যান ডেভিড ক্যামেরন। ব্রেক্সিট সঙ্কটে ব্রিটিশ কাণ্ডারির দায়িত্ব নেন কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা টেরিজা মে। আগামী মার্চের শেষ নাগাদ লিসবন চুক্তির আর্টিকেল ফিফটির আওতায় ইইউ থেকে বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে তার। সরকার যাতে আর্টিকেল ফিফটি প্রয়োগ করতে পারে সেজন্যই পার্লামেন্টে ওই বিল তোলা হয়। বিলটির ওপর আগামী সপ্তাহে দুই দিন পার্লামেন্টে বিতর্ক হওয়ার কথা বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ ২০১৫ সালের মে মাসের নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে যান। গত সেপ্টেম্বরে করবিন ছায়া সরকারে রদবদল আনলে ‘শ্যাডো এডুকেশন’ দলে ডাক পান তিনি। গণভোটে তার আসনের ৭৫ শতাংশ ভোটার ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাওয়া পক্ষে রায় দিয়েছিলো বলে ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়।