বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক : অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার

মেহেরপুর গাংনীর পল্লি সাহারবাটি প্রতিপক্ষের হামলাভাচুর ও লুটপাট

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার ও বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস (৪৮) আহত হয়েছেন। এ সময় কুদ্দুস পক্ষের ৮টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের লোকজন বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। গত মঙ্গলবার রাত এগারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ববিরোধের জের ধরে সাহারবাটি গ্রামের আয়েচ উদ্দীন ও তার লোকজন মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাহারবাটি ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ও বিএনপি নেতা রুহল কুদ্দুসকে সাহারবাটি বাজারে মারধর করে। তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রতিবাদে রাত এগারটার দিকে কুদ্দুসের লোকজন সাহারবাটি বেলেমাঠ পাড়ায় জড়ো হয়। এ সময় পাল্টা প্রতিরোধের লক্ষ্যে আয়েচ উদ্দীনের লোকজন বেলেমাঠপাড়ায় উপস্থিত হয়। ফাঁকা স্থানে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটলে কুদ্দুসের লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে হয়। একপর্যায়ে কুদ্দুস পক্ষের বিএনপি সমর্থক মুকুল হোসেন, ভোলা মিয়া, বরকত আলী, সেলিম হোসেন, আশরাফ উদ্দীন, আবু বক্কর, আনোয়ার হোসেন ও কুদ্দসের বাড়িতে ভাঙচুর করে। জামাল উদ্দীনের বাড়িতে ভাঙচুর ছাড়াও নগদ টাকা, সোনার গয়নাসহ মালামাল লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জামাল উদ্দীনের স্ত্রী রুমিয়া খাতুন।

এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে কুদ্দুস পক্ষের আবু বক্কর ও আশরাফুলের বাড়ি থেকে অবিস্ফোরিত দুটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, প্রতিপক্ষের লোকজন বোমা নিক্ষেপ করে। তবে অবিস্ফোরিত থেকে যায়। খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি বলে জানিয়েছেন গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম।

আহত ইউপি সদস্য রুহুল কুদ্দস জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে আয়েচ উদ্দীন ও তার লোকজন তাকে মারধর করে। তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে দেয়া হয়নি। উপরন্ত তারা বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। অব্যাহত হুমকির মুখে তার পক্ষের বাড়িগুলোতে পুরুষশূন্য অবস্থা বিরাজ করছে।

তবে পাল্টা অভিযোগ করে আয়েচ উদ্দীন পক্ষের লোকজন জানান, সাহারবাটি বাজারে মঙ্গলবার ভাষান গানের আয়োজন চলছিলো। তাতে বাধা দেয়ায় কুদ্দুসকে স্থানীয় লোকজন মারধর করেছে। এদিকে গতকাল বুধবার বিকালে সাহারবাটি বাজারে কুদ্দুস পক্ষের সালা উদ্দীনকে মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুদ্দুস পক্ষের কয়েকজন। সালাউদ্দীন বাজারে মরিচ বিক্রি করতে গেলে তাকে মারধর করা হয়। অপরদিকে আয়েচ উদ্দীন পক্ষের লোকজনের ভয়ে কুদ্দুস পক্ষের লোকজন এখন বাড়ি ছাড়া। তাদের প্রতিটি বাড়িতে পুরুষশূন্য। গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে কুদ্দুস পক্ষের লোকজনের সন্ধান করেছে। সবমিলিয়ে প্রাণভয়ে গ্রাম ছেড়েছেন কুদ্দুস পক্ষের পুরুষ মানুষ। এ ঘটনায় গতরাত পর্যন্ত মামলা দায়ের করেননি ভুক্তভোগীরা।