বোমা ফেলে দুই যুবকের ভৌদৌঁড় : বিকট শব্দে বিস্ফোরণ

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী শহরের পশ্চিম মালসাদহ-ঈদগাহ সড়কে পথচারী দেখে বোমা ফেলে পালিয়ে গেছে দুই যুবক। বিকট শব্দে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত দুটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতরাত সোয়া ১১টার দিকে এ ঘটনা। তবে দূরে বিস্ফোরণ হওয়ায় অল্পের জন্য বোমাঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন পথচারীরা।

জানা গেছে, গাংনী উত্তরপাড়ার দোকান বন্ধ করে চা বিক্রেতা মিলন হোসেনসহ তার সঙ্গীয় কয়েকজন গোরস্থানপাড়ায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত আখ সেন্টার পার হওয়ার পর রাস্তার পশ্চিম দিক থেকে দুই যুবক ব্যাগ হাতে ঈদগাহ সড়কে প্রবেশ করে। অচেনা দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন মিলনসহ তার সঙ্গীরা। তোমারা কারা? জিজ্ঞাসা করতেই তারা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পথচারীরাও তাদের পিছু নেন। এ সময় পর পর তিনটি বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক। তিনটির মধ্যে একটি বোমা বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বোমা বিস্ফোরণের শব্দে ঘর থেকে বের হন আশেপাশের লোকজন। তবে বোমা বিস্ফোরণস্থল থেকে বেশ দুরত্বে অবস্থান করায় বোমাঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন মিলনসহ তার সঙ্গীরা। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত বোমার আলামত ও অবিস্ফোরিত দুটি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এদিকে পথচারীদের কয়েকজন অজ্ঞাত ও বোমাবাজদের সম্পর্কে বলেন, তাদের বয়স আনুমানিক ১৫-১৮ বছরের মধ্যে হবে। হালকা শারীরিক গড়ন। এলাকার কেউ বলে মনে হয় না।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঈদগাহপাড়া-পশ্চিম মালসাদহ সড়কটি সন্ধ্যার পর এক ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। গোরস্থান থেকে উত্তরপাড়ার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তেমন কোনো বাড়িঘর না থাকায় অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। মানুষ চলাচলও তেমন থাকে না। ওই এলাকার বাসিন্দা কম হওয়ায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সড়কে পথচারীদের আনাগোনা থাকে না। এ সুযোগ কাজে লাগায় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদক কেনাবেচা ও বহনের নিরাপদ রুট হিসেবেও দীর্ঘদিন ব্যবহার হয়ে আসছে। দৌঁড়ে পালানো দুই যুবক এদেরকেই কেউ হতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। বিস্ফোরিত বোমার স্পিলিন্টার থেকে তা শক্তিশালী বলে ধারণা করছে পুলিশ।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, পালিয়ে যাওয়া দুই যুবকের পরিচয় বের করা ও তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।