বোমা-গুলির লড়াইয়ে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য নিহত

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ কড়াইতলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে হরিণাকুণ্ডুর নারায়ণপুর গ্রামের লাল মিয়া। গতপরশু রাতে ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের কালীগঞ্জ থানাধীন পিরোজপুর কড়াইতলা নামক স্থানে পুলিশের সাথে বোমা-গুলির লড়াইয়ে লাল মিয়া নিহত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, নিহত লাল মিয়া আন্তঃজেলা সড়ক ডাকাতদলের সদস্য। অবশ্য লাশ উদ্ধারের সময় লাল মিয়ার পরিচয় অজ্ঞাত ছিলো। পুলিশ প্রথমে জানায়, সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ পৌঁছুলে ডাকাতদল গুলি করে। পাল্টা গুলি ছুড়লে ডাকতদলের একজন নিহত হয়। আহত হয়ে পুলিশের দু সদস্য।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের পিরোজপুর কড়াইতলা নামকস্থানে একদল ডাকাত গাছ কেটে সড়কে ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এ সময় কালীগঞ্জ থানা পুলিশের টহলদল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছুলে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্যে করে হাতবোমা ছুড়ে মারে ডাকাতরা। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে উভয়ের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয় কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল আল-আমিন ও রতন আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে ১ টি শাটারগান, ১ রাউন্ড গুলি, ৫টি ককটেল, ধারালো অস্ত্র, দড়ি ও গাছকাটার করাত উদ্ধার করা হয়। নিহত ডাকাতের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। লাশটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

এদিকে দুপুরে লাশ শনাক্ত করে নিহতের আত্মীয়স্বজন জানান, নিহত ওই ব্যাক্তি হরিণাকুণ্ডুর নারায়ণপুর গ্রামের লাল মিয়া। সে খলিলুর রহমানের ছেলে। ৫/৬ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলো বলে জানিয়েছে তার নিকটজনেরা।